কাজ করছি সারাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে
আলোকিত বার্তা:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেছেন, আমাদের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের সেতুগুলোর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এটা চলমান থাকবে।তিনি বলেন,প্রায় সারা বাংলাদেশে একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান মিলে সব দিক থেকে মানুষের যোগাযোগটা যাতে সহজ হয়ে যায় সেই চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, দেশবাসী আমাদের ওপর আস্থা রেখে ভোট দিয়েছে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সারাদেশে উন্নয়নের মাধ্যমে তা রক্ষা করছি। সারাদেশে ব্রিজ, কালভার্ট, ওভারপাস, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, যেখানে যা কিছু প্রয়োজন আমরা সব করে দিচ্ছি। এ দেশের মানুষ যেন যাতায়াতে কষ্ট না পায় সে জন্যই আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করছি।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে একইসাথে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। এছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে সেতুর উদ্বোধন করছি সেগুলো আমি মনে করি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।তিনি বলেন, দেশের মানুষের যোগাযোগ নিবিঘ্ন করার জন্য সারাদেশে সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান সচল করা হচ্ছে। সারাদেশেই সড়ক, রেল, নৌ ও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। যেভাবে সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন হচ্ছে তাতে ইনশাল্লাহ প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষ কম সময়ে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সড়ক পথের যে উন্নয়ন করেছি তাতে আগামী ঈদে কাউকে কষ্ট ভোগ করতে হবে না। নিবিঘ্নে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। আমরা সারাদেশে সড়ক যোগাযোগের যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি তা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে। উন্নয়ন সহযোগী সব দেশের সঙ্গে বন্ধুপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেশ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।এজন্য জাপান সরকার এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভবিষ্যতে স্বস্তির স্বার্থে মেট্রোরেলের সাময়িক ভোগান্তি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল ফ্লাইওভারসহ নানা উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় ঢাকাবাসীকে এখন একটু কষ্ট পেতে হচ্ছে। একটু কষ্ট সহ্য করলে ভবিষ্যতে যাতায়াত আরো আরামদায়ক হবে।
রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,শুধু গাড়িচালককে দোষ দেবেন না। ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন। গাড়িচালক ও পথচারী কেউই যদি ট্রাফিক আইন না মানে তাহলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটবে।তিনি বলেন, মহাসড়ক গুলোতে চালকের বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা নেই। আমরা অদূর ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থা এবং খাওয়া-দাওয়াসহ যে কোনো গাড়িচালক যাতে বিশ্রাম নিতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেব।প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্স কুমিল্লা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,কৃষিমন্ত্রী ড.আবদুর রাজ্জাক,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোহাম্মদ নজিবুর রহমান।