হল থেকে শিক্ষার্থী বের করে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন
আলোকিত বার্তা:প্রধান শিক্ষিকা কর্তৃক বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্কাউটের জন্য নির্ধারিত পোশাকের টাকা দিতে না পারায় শিশু শিক্ষার্থীদেরপরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুলিপি দিয়েছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস জানান,তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।তিনি বলেন,আমরা ইতোমধ্যে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।এদিকে দীর্ঘ ২২ বছর একই স্কুলে থাকা ওই প্রধান শিক্ষিকার বদলির পাশাপাশি শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বাকাল হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সমাপনী গনিত পরীক্ষা চলছিল।পরীক্ষার প্রায় ১ ঘণ্টা অতিবাহিত হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৃনালিনী তালুকদার স্কাউটের জন্য নির্ধারিত পোশাকের টাকা না দেওয়ায় ১০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল থেকে তার কক্ষে ডেকে আনেন।শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে ৮ শিক্ষার্থী স্কাউট ড্রেসের টাকা আগামী শনি ও রোববার পরিশোধ করবে জানালে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়।বাকি দুজনকে টাকা আনার জন্য বাড়িতে পাঠানো হয়।ওই দুই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে ঘটনা তাদের অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকেরা ঘটনা জানার জন্য স্কুলে আসেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সিরাজুল হক তালুকদার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রিতীশ বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠান।২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে প্রিতীশ বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন শিক্ষা কর্মকর্তা।খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।ওইসময় তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের বিচার করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।প্রধান শিক্ষক মৃনালিনী তালুকদার বলেন,পায়েল দে ও চৈতী বিশ্বাসসহ একাধিক ছাত্রীদের লাইব্রেরিতে ডেকে টাকার কথা বলা হয়েছে।তবে চৈতী ও পায়েল বাড়ি চলে গেছে টাকা আনার জন্য তা আমি জানি না।আমি তাদের টাকা আনতে বাড়ি পাঠাইনি।আমি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রিতীশ বিশ্বাস স্যারের মাধ্যমে ওদের বাড়ি যাওয়ার কথা জেনেছি।