তিন বছরের ব্যবধান মির্জাগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী শত কোটি টাকার মালিক - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন বছরের ব্যবধান মির্জাগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী শত কোটি টাকার মালিক


মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার এক সময়েরকাঁচামাল ব্যবসায়ী,জঙ্গি নামে পরিচিত জাহাঙ্গির ও মনির দুই ভাই তিন বছর সময়েরব্যবধানে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।একসময়েযাদের ব্যাংক হিসাবে লাখ টাকাও ছিল না, তারা এখন শত কোটি টাকার মালিক। এ যেনহঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।তবে এলাকাবাসী বলেন,জাহাঙ্গির দুই তিন বছর পূর্বেও বাজারে বাজারেকাঁচামালের ব্যবসা করতেন। হঠাৎ করে এমন অর্থের উৎস কি এমন প্রশ্ন এলাকার সাধারনমানুষের মনে। কেউ বলছে আলাদিনের চ্যারাক পেয়েছেন।উপজেলা শহর, সুবিদখালি বন্দর সহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে কিনেছেন কোটিকোটি টাকার সম্পত্তি। রয়েছে ছোটবড় ১০টি ট্রাক, নিজস্ব চলাচলের জন্য রয়েছেবিলাশ বহুল অর্ধকোটি টাকা মূল্যের গাড়ী, প্রায় ৩কোটি টাকা মূল্যের পাঁচতলাআলিশান বাড়ি। সুবিদখালি তিন রাস্তার মোড় সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে দেড় কোটিটাকায় সদ্য ক্রয় করা আরেকটি বাড়ি, দারুসুন্নাত মাদ্রাসার বিপরীত পাশে আরোএকটি বাড়ি। এছাড়াও এমন একাধিক বাড়ি রয়েছে বিভাগীয় শহর সহ রাজধানীঢাকাতেও। ব্যবসার জন্য তৈরী করেছেন আধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রীত ফলের আরদ যেখানেব্যবহার করছেন ১০ টি এয়ারকন্ডিশন। মালামাল বহন করার জন্য রয়েছে একাধিক কাভার ভ্যান ওট্রাক যাহার লাইসেন্স নং- ঢাকা মেট্রো-ট ১৩৪৫৩৫, ঢাকা মেট্রো-ট ২২৮৯৭৩, ঢাকামেট্রো-ন ১৩৬২১৮, ঢাকা মেট্রো-ট ২২২৬৯০, এছাড়াও নিজস্ব চলাচলের জন্য রয়েছেঅর্ধকোটি টাকা মূল্যের হাইএসি ঢাকা মেট্রো-চ ১৯৫৮১৩ গাড়ী।

এছাড়াওআলোচিত জঙ্গি জাহাঙ্গির এর কলেজ পড়–য়া একমাত্র পুত্র শাকিল হাওলাদার ব্যবহার করেনবিলাশবহুল পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের দুইটি মোটর বাইক।মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে কোটিকোটি টাকা লেনদেনের সত্যতা। রাতারাতি তৈরী করেছেন বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামেএকাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালিকানাধীন সম্পত্তি।নাম না বলার শর্তে, স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, নিশ্চই কোন ধরনের অবৈধ ব্যবসারসাথে সম্পৃক্ততা আছে না হলে রাতারাতি এত সম্পদের মালিক হওয়া দুস্কর। তাদের এইসম্পদের উৎস কোথায়, তা বের করতে দুদক ও প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেনএলাকাবাসি।এসব বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গির আলম বলেন, এত টাকা ও সম্পদের উৎস্য সম্পর্কে আমিআপনাকে কিছু বলতে পারবো না। এই বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।মনির হোসেন বলেন, আমি অত টাকার মালিক না, সাত আট কোটি টাকার মালিক হতেপারি। তবে আমিই এসকল সম্পত্তির মালিক । আর এসব আমার বিদেশ থাকাকালিন আয়েরসম্পদ।সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. কবির জোমাদ্দার বলেন, তাদের টাকার কোন শেষ নাই,উপজেলার মধ্যে মনির এখন শ্রেষ্ঠ ধনি। শুনেছি জাহাঙ্গির এর ছোট ভাই মনির কিছুদিনপ্রবাসে ছিলো,তারপর থেকে এই সম্পদের হঠাৎ উৎপত্তি।মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম.আর শওকত আনোয়ার ইসলাম এর কাছেজানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন বিষয়টি আমার জানা নেই ,তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনধরনের মামলাও আছে কিনা তদন্ত করে দেখবো।মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু-বকর সিদ্দিক বলেন, তাদেরএমন সম্পদ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন আছে সত্য। তাদের এতসম্পদের উৎস আমার জানা নাই।তাদের আতœীয় স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকা রাখা হয়েছে এমন গুঞ্জন রয়েছেএলাকায়।

Top