বরিশালের হিজলায় অবৈধ ইটভাটায় জমজমাট বাণিজ্য।
আলোকিত বার্তা:বরিশালের হিজলায় অবৈধ ইটভাটায় জমজমাট বাণিজ্য।নীরব ভূমিকায় প্রশাসন। হুমকি মুখে পরেছে পরিবেশ ও জনজীবন। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে পরিবেশ অধিদফতরের সহযোগীতায় ইট ভাটা মালিকগন তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি না দেখার ভান করছে পরিবেশ অধিদফতর।পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক আইন মেনে ইট ভাটা চালালোন কড়া নির্দেশ থাকলেও তা মানছেন না হিজলা ইট ভাটা মালিকগন। হিজলায় একে একে গড়ে উঠেছে শতাধীক ইট ভাটা। এ সকল ইট ভাটা শেীরভাগ সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত ফসলী জমীতে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।
ইট ভাটার মালিকরা অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর চালিয়ে যেতে পারছেন তাদের ইট ভাটার অবৈধ ব্যবসা। এ সকল ইটভাটার মধ্যে অনেকেই অনুমোদন নেই।মালিকানা,সরকারী সম্পত্তি এবং সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানে এ সকল ইট ভাটা স্থাপিত হয়েছে।অনুমোদনহীন ইটভাটাগুলো আইনের তোয়াক্কা না করে বসত বাড়ি এলাকার ১০-১৫ গজের মধ্যে, কৃষি জমিতেই গড়ে উঠা এ সকল ভাটা।কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ (লাকড়ি)। বসানো হয়েছে অবৈধ করাত কল।যা থেকে সরকারী চোরাই কাঠ/গাছ যাচ্ছে ইট ভাটায়। তবে এ বিষয়ে বন বিভাগের ভুমিকা নেই কোথাও। সমসাময়িক সময়ে ঢাকার বায়ুদুষন নিয়ে হৈ চৈ পড়লেও হিজলার বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা যোগ হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন,ইউনিয়ন ভুমি অফিস, কোষ্টগার্ড সহ বিভিন্ন দপ্তর অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালালেও হিজলার প্রেক্ষাপট ভিন্ন চিত্রে। অবৈধ ইট ভাটার কালো ধোয়া আর র্দুগন্ধ অবুজ শিশুরা সহ সকল শ্রেনীর মানুষ।
বাংলা চিমনির মাধ্যমে পোড়ানো হচ্ছে ইট।ফলে ভাটা এলাকার আসে পাশে বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ এবং কালো ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও পরিবেশ,আবার কোথাও বাস্তচ্যুত হচ্ছে সাধারণ গরিব কৃষক।ভাটার কালো ধোয়ার ফলে জনজীবন ও পরিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে।যার ফলে অবাধে নিধন হচ্ছে গাছ,উজার হচ্ছে বনজ সম্পদ এবং নি:শেষ হচ্ছে ফসলী জমি।বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফলজ,বনজ গাছসহ তাল, নারকেল,খেজুরসহ অনেক ফলগাছ।খেজুর গাছ বিলীন হওয়ায় হারাতে বসেছে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য শীতকালীন খেজুরের রস।এবিষয়ে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন,এর আগেও এই ইটভাটা গুলো বন্ধ করা হয়েছিলো। তারা অগোচরে আবার চালু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।