“উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা”
আলোকিত বার্তা:“সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা” প্রকল্পউদ্ধোধন“উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেপ্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা”বরগুনা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ঃ আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে যুক্তরাজ্যের দাতা সংস্থাইউকে এইড এর সহযোগিতায় “সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়স্বাস্থ্যসেবা” শীর্ষক প্রকল্পটির জেলা পর্যায়ে উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানেবক্তারা উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন করণীয় ও পরিকল্পনাতুলে ধরেন যাতে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠী নির্বিঘেœ স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।উক্ত প্রকল্পের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলারমাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বরগুনা জেলারমাননীয় সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ মোঃ হুমায়ূন শাহীন খান। এছাড়াও বিশেষ অতিথিহিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহবুব আলম (উপ-পরিচালক-স্থানীয় সরকার), মোঃ শাহাদাতহোসেন (মাননীয় মেয়র-বরগুনা পৌরসভা) ও তাপস কুমার শীল (উপ-পরিচালক-পরিবার পরিকল্পনা)।উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলার উচ্চপদস্থ গুরুত্বপূর্ন সরকারী ও বেসরকারীকর্মকর্তাবৃন্দ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ইএইচডি প্রকল্পের কনসোর্টিয়ামেরসদস্য সংস্থা সমুহের প্রতিনিধিগণ এবং বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমের সম্মানিতপ্রতিনিধিবৃন্দ।অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধান অতিথি জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, “উপকূলবর্তীসুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন সরকারি ওবেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টা।
এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসুবিধাপ্রাপ্তির হার বাড়াতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি তিনি এইপ্রকল্পের জন্য সার্বিক সফলতা কামনা করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল প্রকার সহায়তাপ্রদানের আশ্বাস দেন।”অনুষ্ঠানে মাননীয় সভাপতি জনাব ডাঃ মোঃ হুমায়ূন শাহীন খান বলেন, “দেশের প্রতিবন্ধীব্যক্তিসহ সকল সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির হার এবং জরুরীস্বাস্থ্যসেবাসমূহের মান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়েআসতে হবে। এই প্রকল্পের ফলে উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায়স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে বলে আশা করেন। এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকিহ্রাস পাবে। তিনি এই প্রকল্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার সার্বিক সহযোগিতারঅঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।”কনসোর্টিযামের পক্ষ থেকে জনাব এহসানুল হক-টিম লিডার, পিএইচডি এই প্রকল্পেরবিস্তারিত উপস্থাপন করেন।এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী কৌশলের মাধ্যমে পটুয়াখালী, ভোলাএবং বরগুনা জেলার নির্দিষ্ট এলাকার বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরঅত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এনে স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবার উন্নয়নেরএকটি টেকসই মডেল নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা।উল্লেখ্য যে, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর সার্বিক তত্ত¡াবধানে ইউকে এইড এরসহযোগিতায় সাড়ে তিন বছর মেয়াদী (২০১৯-২০২২) এই প্রকল্প, ঈইগ, ওঈউউজ,ই, ওঢ়ধং, উজজঅ,জঐঝঞঊচ, ঞবষবহড়ৎ ঐবধষঃয-এর সহায়তায় চধৎঃহবৎং রহ ঐবধষঃয ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ (চঐউ) বরিশালবিভাগের ৩টি জেলার মোট ৮টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও খুলনা বিভাগের ৩টিজেলার ৭টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কগঝঝ নামক একটি স্থানীয় বেসরকারিসংস্থা।