তালতলীতে নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাঁধা
মল্লিক মো.জামাল,বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার তালতলীতে আদালতের রায় অমান্য করে অবৈধভাবে জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।ক্রয়কৃত জমি অনেকদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসতেছে।হঠাৎ একটি চক্র জমির সীমানা নির্ধারণের প্রাচীর নির্মানে বাধাঁ প্রধানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি তালতলী উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,২০০৮ থেকে আজ ও পর্যন্ত উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া গ্রামের মোসা:কাজল বেগম,স্বামী:মৃত নুর মোহাম্মদ হাং এর কাছ থেকে মো.খবির হাং পিতা:মৃত লাল মিয়া হাং ক্রয় করেন যাহার খতিয়ান নং-৯৮১ মৌজা-৪৮-চান্দখালী জে.এল নং-১৬ মোতাবেক ২০৬৬,২০০১,২৭০১ মোট তিনটি দাগে স্থানীয় মাপের মোট ৫কড়া জমি ক্রয় করেন।অনেক বছর ধরে ভোগদখল করে আসতেছে মো.খবির হাওলাদার।ভুক্তভোগী জমির সীমানা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ ওই একই গ্রামের মোসা:কাজাল বেগম এবং তার লোকজন এসে প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা প্রদান করছে।জমির মালিক মৃত:লাল মিয়া হাং এর ছেলে খবির হাং জানান,আমার পিতা বহু বছর আগে জমি ক্রয় করেন।অনেক বছর যাবৎ ভোগদখল ও করে আসছি।সে বিক্রেতা ২০৬৬,২০০১,২৭০১ দাগে আমাদের জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।কিন্তু প্রতিপক্ষ মিমাংসা না মেনে উল্টো আমাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়।
জাহাঙীর হাং এবং জামাল ভুইয়াসহ অজ্ঞাত ৪/৬ জনের বিরুদ্ধে ৩৭৯/৩৮১/৫০৬ ধারা আইনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদালত আমতলী মোতাবেক মামলা নং ৮৭২/১৮ দায়ের করে। এবং আদালতে মামলার রায় পায় খবির হাওলাদার।খবির হাং এর মেয়ে বলেন আমি পঞ্চম শ্রেনী পড়ি আমি স্কুলে যাওয়া-আসার সময় অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে।এ অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে ঘটনাটা মিমাংসা করার জন্য পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব নজির হোসেন পাটোয়রীর কাছে কোর্ট অর্পিত করে।জনাব নজির হোসেন পাটোয়ারী প্রতিপক্ষ কে নোটিশ দিয়ে বিভিন্ন সময় ঘটনাটা মিমাংসা করার জন্য ডাকে কিন্তু তারা কোনো শালিস-বৈঠক মেনে না।এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা ও জমির সীমানা প্রাচীর দেয়ার অনুমতি দানে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।