৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নতি ঘটেনি বরিশাল শেবাচিমের স্বাস্থ্য সেবার - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নতি ঘটেনি বরিশাল শেবাচিমের স্বাস্থ্য সেবার


রিপোন হাওলাদার:দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও সে অনুযায়ী উন্নতি ঘটেনি স্বাস্থ্য সেবার মান। কাটেনি চিকিৎসক সংকট ও অবোকাঠামো। রোগীর চাপ বেড়েছে বহুগুণ। এদিকে হাসপাতালে বর্তমানে অন্তর্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন অন্তত গড়ে দেড় হাজার রোগী ভর্তি হয়ে থাকে। বহিঃবিভাগ থেকে সেবা নিচ্ছেন গড়ে ৩ হাজার রোগী। তবে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে পর্যায়ক্রমে ১শ শয্যায় উন্নীত করা হলেও কিন্তু তা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। তাই ৫০০ শয্যার বিপরীতে সংকটে থাকা চিকিৎসক ও জনবল নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। এই চিকিৎসক ও জনবল পদায়নেও রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি।

সূত্র জানায়, ৫০০ শয্যার অনুকূলে ২২৪ সৃষ্ট পদের বিপরীতে পদায়ন আছেন অর্ধেক চিকিৎসক। অর্থাৎ অধিকাংশ পদই রয়েছে শূন্য। এছাড়া রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার ও ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিষ্টের অধিকাংশের বেশি পদ রয়েছে শূন্য। আরো রয়েছে, রেজিস্ট্রোর পদের মধ্যে ১৮টি, ৬৬ সহকারী রেজিস্ট্রার পদের মধ্যে ৩৭টি ও ৪টি ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট পদের ৩ টি শূন্য। জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা (ইএমও) এর ১০টির পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন কেবল ৫ জন। অন্যদিকে বহিঃবিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তার ১৯টি, মেডিকেল কর্মকর্তা (সদ্যসৃষ্ট) পদে ৮টি এবং অন্তর্বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তার ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে একদিকে রোগীরা যেমন যথাযথ সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি ইন্টার্ন চিকিৎসক নির্ভর হয়ে পড়ছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান তলানিতে ঠেকেছে। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভবিষ্যতে আরও নেতিবাচক প্রভাবের আশংকা করছে স্থানীয় সুধী সমাজ।

দীর্ঘ ৫০ বছর পার হলেও শেবাচিম হাসপাতাল ও কলেজটির যে পর্যায়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি।এখনও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী হাসপাতালের নিম্নমানের চিকিৎসা গ্রহণে বাধ্য হচ্ছেন।এমন অব্যবস্থাপনারোধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কাম্য বলে অভিমত চিকিৎসা নিতে আসা সংশ্লিষ্টদের।এ বিষয়ে শেবাচিম পরিচালক ডা.বাকির হোসেন বলেন, চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এ অবস্থা থেকে শীঘ্রই উত্তরণ ঘটবে বলে আশাবাদী তিনি।

Top