সেবার দুয়ার খুলে বসেছে, উপজেলা প্রানিসম্পদ হাসপাতাল। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেবার দুয়ার খুলে বসেছে, উপজেলা প্রানিসম্পদ হাসপাতাল।


শাহাদাত হোসেন রুবেল স্টাফ রিপোর্টারঃবরিশাল জেলার সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সেবার মান সবসময়ই ছিল সর্বাগ্রে।
হাসপাতাল টি সম্পুর্ণ নতুন আংগিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানা যায়।এই হাসপাতালে প্রতিদিন সেবা নিতে আসে বিভিন্ন এলাকার মানুষ।কারো কারো একটি বা তার অধিক প্রাণী নিয়েও আসেন এই হাসপাতালে সেবা নিতে।গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,গতকাল মালেকা বানু নামে একজন মহিলা নগরীর ভাটারখাল এলাকা থেকে সকালে দুটো ছাগল নিয়ে এসেছেন ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য।কর্তব্যরত চিকিতসক পরিক্ষা নীরিক্ষা করে ঔষধ লিখে দিলেন এবং কিছু ঔষধ হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে প্রদান করলেন।এরকম অসংখ্য মানুষ প্রাণীদের সেবা নিতে দারস্থ হন প্রানী সম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে। অনেকের হয়ত একমাত্র সম্বল এই প্রাণীগুলাও বা ছাগলগুলো।

অন্যদিকে অনেকেই হয়ত গরু নিয়ে আসেন কেউ বা আসেন তাদের পোষা প্রানী বা পাখিটিকে নিয়ে সু-চিকিতসার উদ্দেশ্যে।আবুল মনসুর নামে একজন লোক বলেন”কেউ ই খালি হাতে ফিরে যাইনা,একটু ভাল পরামর্শ অইলেও পাই,এই আশায় ই হাসপাতাল আসি”।তবে অনেকের অভিযোগ হাসপাতালে সেবা পাওয়া গেলেও,বড় বড় গরু হাসপাতাল আনা সম্ভবপর হয়না,ফলে অনেক সময় তারা গ্রামের পশু ডাক্তার দিয়ে ভুল চিকিৎসা করিয়ে থাকেন যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।এ ব্যাপারে অত্র হাসপাতালের একমাত্র ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইব্রাহীম খলিল বলেন, এ অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়,কারণ আমাদের তিনজন ফিল্ড অফিসার রয়েছেন ১০ টি ইউনিয়নের জন্য,তারাই মূলত খামারিদের কাছে সেবা পৌছাচ্ছেন।তিনি আরো বলেন,যদিও সকল খামারিকে একই সময়ে সেবা দেয়া সম্ভব হয় না,তবে এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে মোবাইল ক্লিনিক এর ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন,তখন বিভিন্ন ইউনিয়নে খামারিদের সেবা পৌছানো সহজ হবে এবং অত্র হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা এর পাশাপাশি ভেক্সিন সরবরাহ ও খামার করার অন্যান্য পরামর্শ প্রদান করা হয় বলেও জানা তিনি।দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতাল টি সুনামের সাথে সেবা দিয়ে আসছে।এই সেবায় সেবা গ্রহীতাগণ ও সন্তুষ্ট ও আরো বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন খামার করার জন্য।

Top