বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুককে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
পাখি আক্তার:বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুককে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।এ ঘটনায় মিস্টি বিতরণ করা হয়েছে।অনৈতিক কাজে লিপ্ত থেকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে তাকে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে রোববার নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুস।
উল্লেখ্য,বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করে এক তরুনী। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোলাম ফারুকের গ্রামের বাড়ি বানারীপাড়ার ডান্ডোয়াটে।রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে।তবে কেউ থাকে না সেখানে। ফারুক মাঝে-মধ্যে বানারী পাড়া থেকে এসে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। ওই ফ্ল্যাটেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি।পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাসা রাজধানীর পল্লবী এলাকায়। তিনি সেখানে বিউটি পার্লারে কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে।
গত মাসের শুরুতে মেয়েটির মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে। রং নম্বর হওয়ায় মেয়েটি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপরও একই নম্বর থেকে কল করা হত তাকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন গোলাম ফারুক। স¤প্রতি তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা কৌশল করতে থাকেন তিনি। বিয়ে করবেন-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। প্রত্যাখাত হয়ে ফারুকের বিরুদ্ধে মেয়েটি ভাটারা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।