বানারীপাড়ায় প্রশাসনের নাগের ডগায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা!
পাখি আক্তার:বানারীপাড়ায় প্রশাসনের নাগের ডগায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা!উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংড়া সোহেল সম্প্রতি তার মাদক সাম্রাজ্যের ভার অর্পণ করেছেন এক সম্রাটের হাতে। সম্রাট ওই মাদক সাম্রাজ্যে হারুন, কবির ও সিলেটি নামের তিনজনকে নিয়োগ করে গোটা উপজেলা জুড়ে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চাালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও সাবেক এক ছাত্রদল নেতা, এক পৌর যুবদল নেতা, তার স্ত্রী, অখ্যাত পত্রিকার কার্ডধারী কথিত এক সাংবাদিক, এক ইটভাটা মালিকের ছেলে ও এক মাছ বিক্রেতা সহ বেশ কয়েকজন এ মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।বিষয়টি এলাকাবাসী জানলেও উল্টো হয়রানির ভয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন। খোঁজখবর নিয়ে এমনটিই জানা গেছে।আর এই মাদকের রমরমা ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে খোদ বানারীপাড়া থানার কয়েকশত গজের মধ্যে পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে। বানারীপাড়া-চাখার আঞ্চলিক সড়ক হয়ে পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের (পুর্ব দিকে যেতে) শেষ সীমানা পর্যন্ত চলছে সর্বনাশা এ মাদকের বিকিকিনি।
এছাড়াও সলিয়াবাকপুর ও রায়েরহাট এলাকা সহ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকের বিকিকিনি হয়। গ্রেফতার এড়াতে বেশিরভাগ সময় মুঠোফোনে বিকিকিনি হয় এসব মাদক। কল পেয়ে বিকাশের মাধ্যমে লেনদেনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেন মাদক। অনেক সময় রিক্সাওয়ালাদেরকেও মাদক সরবরাহে ব্যবহার করা হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের মো. খাদেম হোসেনের স্ব-মিলে যাওয়ার রাস্তা হয়ে বাড়ির ভিতরের রাস্তা, মজিবর চেয়ারম্যান বাড়ির ব্রিজ হয়ে মহিষাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা,খালাসী বাড়ি যেতে ব্যবহৃত রাস্তা এবং কিছু ক্ষেত্রে রিক্সার ড্রাইভারদের ব্যবহার করাসহ পথচারী সেজে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে মোটরসাইকেল। এই চক্রটিই উপজেলার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে এমনও তথ্য উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।
মাদক কেনা বেচায় বেশির ভাগ সময়ই বিকাশ নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে ।দিনদিন মাদক ব্যবসায়ীদের ও সেবনকারিদের সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। ফলে পরিবারের একজন সদসস্যের কারণে বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে পুরো একটি পরিবার। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের পরিবারের বিরাজ করছে চরম অশান্তি ও অস্থিরতা।এদিকে জানাগেছে মাদক ব্যবসায়ী সম্রাট আগে বানারীপাড়া-চাখার সড়কে রিক্সা চালাতো। পুরনো পেশা ছেড়ে দিয়ে ল্যাংড়া সোহেলের মাদক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দিয়ে আসাই তার কাজ। সম্রাটের পিতা মালেক বন্দর বাজার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ঝাঁলমুড়ি বিক্রি করতো সাম্প্রতিক সময়ে তাকে এ এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে প্রভাবশালী শেল্টারদাতা। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী সহ সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেননা ।
স্থানীয়রা জানান,চোখের সামনে দেখছি মাদকের ব্যবসা । অথচ কিছু বলতে পারছিনা উল্টো হয়রানীর ভয়ে। এলাকার যুব সমাজকে বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবী সচেতন মহল থেকে।এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংড়া সোহেল শিয়ালের মতো ধূর্ত সে গ্রেফতার এড়াতে রাতে গাছে থাকে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে সে যত ধূর্তই হোক না কেন ধরা তাকে পড়তেই হবে।