শিক্ষার্থীরা জলবায়ু ধর্মঘট শুরু করলে কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে এ সময় বক্তব্য দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক । - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীরা জলবায়ু ধর্মঘট শুরু করলে কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে এ সময় বক্তব্য দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক ।


পাখি আক্তার:জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাকশন উইক উপলক্ষ্যে বরিশালে জলবায়ু ধর্মঘট করেছে জলবায়ু কর্মী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা।এসময় জলবায়ু সংকট থেকে উত্তরণে এবং তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে বিশ্বনেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারের প্রতি ‘জলবায়ু জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে আহ্বান জানান ফ্রাইডে’স ফর ফিউচার আন্দোলনের খুদে জলবায়ু কর্মীরা।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে তরুণ শিক্ষার্থীরা জলবায়ু ধর্মঘট শুরু করলে কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে এ সময় বক্তব্য দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান।

তিনি বলেন,বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের নির্মম শিকার। কিন্তু এর জন্য বাংলাদেশের দায় নেই। সরকার বদ্বীপ পরিকল্পনার পাশাপাশি ২৫টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য জলবায়ু বাজেট প্রণয়ন করেছে। যা জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবিলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গ্লোবাল ক্লাইমেট স্টাইক বিশ্বব্যাপী শিশু ও তরুণদের একটি আন্দোলন। শুরু থেকেই আমি এটি সমর্থন দিয়ে আসছি।

এসময় শিশুদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে এবং জলবায়ু অর্থায়ণ বাড়াতে আহ্বান জানান। এছাড়া জলবায়ুকে ক্ষতি করে এমন জীবনযাপন থেকে নাগরিকদের বিরত থাকার পাশাপাশি বেশি করে গাছ লাগানোর প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন। অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে যুব সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস। ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া, মহিলা কলেজের অধ্যাপক শিবানী চৌধুরী ও বরিশাল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি আ. হাই সিকদার।

এসময় বক্তারা বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলায় শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানান। বাংলাদেশে ‘জলবায়ু জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার দাবিতে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও আয়োজক সংস্থা ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববাসীর সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে বাংলাদেশে ‘জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা’ করলে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা এবং সাধারণ জণগণের দুর্ভোগ অনুধাবনে সহায়ক হবে। পাশাপাশি এই সংকট থেকে উত্তরণে বৈশ্বিক বিভিন্ন আয়োজন থেকে বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য হিস্যা পাওয়া সহজ হবে।পরে তরুণদের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য জলবায়ু পদযাত্রা বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

Top