হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ


প্রতিবেদক,আলোকিত বার্তা :ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজি রেজাউল কবীর পলের নির্বাচনী মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় মোহাম্মদ দারা মেম্বার, তুহিন মিয়া, টিটু আহমেদ ও আওলাদ হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মেইন সড়কের ফ্যামিলি শপিংমলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। এ নিয়ে রেজাউল কবীর পল সমর্থক ও নিপুন রায় চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপির দুই পক্ষ কর্মসূচি দেওয়ায় কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রেজাউল কবীর পল সমঝোতার মাধ্যমে জিনজিরা ঈদগাহ মাঠ বাদ দিয়ে জিনজিরা ফ্যামিলি শপিংমলের সামনে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ করেন রেজাউল কবীর পলের সমর্থকরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে ৫০ থেকে ৭০ জন অস্ত্রধারী হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় সেখানে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক তারিফুর রহমান বলেন, ‌‘শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ আয়োজন করা হয়েছে।রেজাউল কবীর পল বিষয়টি জিনজিরা ঈদগাহ মাঠের সভাপতি থেকে শুরু করে ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানাকে জানিয়েছেন। মাঠের অনুমতি নেওয়ার পরও ওইদিন একই জায়গায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুন রায় চৌধুরী কর্মসূচি করতে চাইলে তা মেনে নিয়ে ফ্যামিলি শপিংমলের সামনে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তারপরও রেজাউল কবীর পলের নির্বাচনী মঞ্চে হামলা ভাঙচুর, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে ভাড়াটে সন্তাসীরা। এই হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।এ ব্যাপারে রেজাউল কবীর পল বলেন, ‘একটি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যেকোনো স্থানে প্রোগ্রাম করতে পারেন। আমি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুন রায় চৌধুরীও জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে কর্মসূচি দেন। আমি তা মেনে নিয়ে ভিন্ন স্থানে কর্মসূচি দিলেও সেখানে হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে জানতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু বলেন, জিনজিরা সমাবেশ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। জিনজিরা ঈদগাহ ও বাসরোডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Top