প্রশাসনে এখনো ৯০ ভাগ কর্মকর্তা ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগের রয়েছে - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনে এখনো ৯০ ভাগ কর্মকর্তা ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগের রয়েছে


মু . এ বি সিদ্দীক ভুঁইয়া : প্রশাসনে এখনো ৯০ ভাগ কর্মকর্তা ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগের রয়েছে। বর্তমান সরকার গত ৯ মাসে তাদের প্রশাসন থেকে সরাতে পারেনি। সে কারণে প্রশাসনে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি বলে দাবি করে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রশাসনে এখনো স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।প্রশাসনে ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলিতে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় গুলো আগে থেকে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)-এর সভায় সিদ্ধান্ত নিতো তা এবং বাস্তবায়ন হয়ে আসতো। বর্তমান অন্তর্বকালীন সরকারের গত নয় মাসে প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদি আমলাদের অবসান করতে পারেনি। এসব ঘটনা নিয়ে পদ-পদোন্নতিসহ চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থামছে না। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি, আর্থিক সুবিধা দেওয়া হলেও অনেক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা কার্যকরের নির্দেশ দিলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তা ‘ফাইলবন্দি’ হয়ে থাকছে। এখনো অনেক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদ ফাঁকা রয়েছে। সে গুলোতে চলছে বড় ধরনের তদবীর। এছাড়া প্রশাসনে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দিতে বিরোধীতা করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগি কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অপর দিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রশাসনে থাকতে পানে সে জন্য জামায়াত পন্থী কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে সংস্কার ও বঞ্ছিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ইস্যুতে প্রশাসনে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। প্রশাসন ক্যাডারে চলছে অস্থিরতা ও চাপাক্ষোভ। যে কোনো সময় এই ক্ষোভ বিস্ফোরণমূখ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বিতর্কিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল ও স্বৈরাচারের দোসর কর্মকর্তাদের অপসারণ করাসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো:তোফাজ্জল হোসেনসহ পাঁচ সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসাথে তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করাসহ পর্যায়ক্রমে তাদের অফিস ঘেরাও করে তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ফোরামের।এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, আমলে পদোন্নতি- বদলীর কাজ গুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। সুনিষ্টভাবে কোনো ফ্যাসিস্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। কিছু কিছু কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ গুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ তারা বলতে পাবে। আমরা চাই বঞ্চিরা যেন সেই সুযোগ পান।

গতকাল শনিবার সংগঠনের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এর আগে সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির তৃতীয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ১৪ টি সিদ্ধান্ত গুলো হচ্ছে, সরকার, বিভিন্ন কমিশন/সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নিয়োগ/প্রদায়নকৃত বিদেশী নাগরিকদের নিয়োগ/পদায়ন বাতিল চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে রিট দায়ের। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান,কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জাহেদা পারভীন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, (চলতি দায়িত্ব),মো. তোফাজ্জল হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা এবং তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা। পর্যায়ক্রমে তাদের অফিস ঘেরাও করে তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত বিতর্কিত কর্মকর্তা ও প্রশাসনে এখনও কর্মরত স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। বিতর্কিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল ও স্বৈরাচারের দোসর কর্মকর্তাদের অপসারণ করার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ফোরামের সদসরা উপস্থিত হবেন। আগামী ১৫ মে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচী। মিছিলটি সকাল ১১.টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়-জিরো পয়েন্ট-রেলভবন হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে শেষ হবে। সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারি সচিব (নন-ক্যাডার) এর ফিডার পদে পদোন্নতি যোগ্য প্রশাসনিক/ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের মধ্য হতে জেষ্ঠতার ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩০০ জনকে সুপার নিউমারি পদসৃষ্টি পূর্বক সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি প্রদানে জোরালো ভূমিকা পালন। সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকল নন-ক্যাডার কর্মচারীদের রেশন সুবিধা চালু করণে পদক্ষেপ গ্রহণ। বিধিবর্হিভূতভাবে গঠিত জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বদলি ও পদোন্নতি বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি অবিলম্বে বাতিল করা না হলে পররর্তিতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার প্রস্তুতি গ্রহণ। গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ এর পূর্বে পদোন্নতি প্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ-আওয়ামী দোসর যুগ্ম সচিব/অতিরিক্ত সচিবদের পদোন্নতি দেয়া এবং তাদের কাউকে সচিব/সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান নিষিদ্ধ করার দাবীতে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা। ৫ আগস্ট পর ওএসডি অথবা অপসারণের পর আবারও কোন কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মকর্তা/পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জুলাই গণআন্দোলনের পর ৫০০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ১৩০ জন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করা। এইসব কর্মকর্তা ঢাকায় একত্রে অবস্থান করে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদেরকে ক্ষেতমতে বাধ্যতামূলক অবসর এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পদায়নের ব্যবস্থা করা। জেলা প্রশাসক নিয়োগে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত জনপ্রশাসন সচিব, যুগ্ম সচিব আলী আজম ও ড. জিয়া সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে ৩জন উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা। প্রশাসনে উচ্চ পর্যায়ে পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার চাকুরীকালীন সময়ে তাঁর কর্মকান্ড, বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন ইত্যাদি পর্যালোচনা এবং নির্ধারিত বেঞ্চ মার্ক আছে কি-না যাচাই করা। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার এ সমস্ত বিষয় সঠিক থাকলে কোন গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনা করা সমাচিন নয়। ডিজিএফআই এর প্রতিবেদন সিভিল অফিসারের বেলায় নিতান্তই অবান্তর। কোন বিশেষ ক্ষেত্রে যদি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে এনএস আই এর প্রতিবেদন চাইলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যেন সামাজিকভাবে হেয় না হয় বা কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। বর্তমান এনএসআই অধিকাংশ আওয়ামী অনুগত ও নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত। সে কারণে এনএসআই পুর্নগঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংস্থার প্রতিবেদন চাওয়া থেকে বিরত থাকা নিশ্চিত করা। সম্প্রতি দেখা গেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণীত ২০২২-২০২৩ সালের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ২৪ব্যাচের যুগ্ম-সচিব পদোন্নতি কালে ব্যাচের সর্বশেষ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলেও ১৮৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। বঞ্চিত এ সব কর্মকর্তাদের বিষয়টি রিভিউ করে অবিলম্বে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা। ইতোমধ্যে যেসব জেলা প্রশাসক যুগ্ম-সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়েছে তাদের স্থলে ২৫ ও ২৭ ব্যাচের নিরপেক্ষ এবং দক্ষ কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন নিশ্চিত করা। কোনভাবেই আওয়ামী দোসর কাউকে জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা রক্ষার নামে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করে কর্মচারীদের হয়রানী করা এবং কোন প্রকার কারণ না দর্শিয়ে ৮ দিনে চাকুরীচ্যুত করা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার পরিপন্থি “কালো আইন” তৈরী করা থেকে সরকারকে বিরত রাখার লক্ষ্যে কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকা। ফোরামের সকল সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং ফোরামের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আন্দোলনে সবার সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে।

দীর্ঘদিনের এই দ্বন্দ্ব ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর ৮ আগস্ট ড, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের আমলে অনেকটা প্রকাশ্য ধারণ করেছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে তাদের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরের প্রধানপদগুলো গ্রেড-১ উন্নীত করার দাবি জানান। এক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাদের পদোন্নতিতে বিভিন্ন সময়ে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। একেরপর এক শর্ত পুরণের অজুহাত দিয়ে আর কখনো আলোর মুখ দেখে না। এভাবেই তাদের মর্যাদাকে হেয় করা হচ্ছে। ফেসবুকে এসব দাবির পক্ষে লেখালেখি করায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর প্রকট হয় আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব। মাঠ পর্যায়ে তারা আন্দোলনে নামেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছিলেন প্রশাসন ক্যাডারের বাইরের ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। এদিকে প্রশাসনে ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলিতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)-এর সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে সিনিয়র কয়েকজন সদস্য সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)-এর সদস্য হিসেবে থাকার বিধান রয়েছে। তবে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী-উপদেষ্টারা রয়েছে। তারপর একজন উপদেষ্টার কারণে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করায় প্রশাসনের বদলী ও পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া থমকে গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত নয় মাস থেকে প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অতীতেও নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সরকারি চাকরিতে থাকা বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৮ আগস্ট গঠন হয় ড. ইউনূনের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালিন সরকার। পতীত সরকারের জনপ্রশাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, বিচারবিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে সরকার গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ও অন্য ক্যাডারের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দেয়। নিজেদের মতো করে মতামত প্রকাশ করতে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে দেখা যায়। সরকারের কোন পক্ষ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার উদ্যোগ না নেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘটনা ঘটে। গত মার্চে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিয়ে ২৫ ক্যাডারের সংগঠনের নেতাদের মধ্যে একজন চলতি বছর মার্চে ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ১৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ ঘটনায় ২৫ ক্যাডারের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ২৫ ক্যাডারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ২৫ ক্যাডারের কিছু বিষয় নিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। শিক্ষা ক্যাডার অন্যান্য ক্যাডারের সঙ্গে কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

Top