বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদকসহ আটক ৭ - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদকসহ আটক ৭


রিক্তা আক্তার মালা:বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।বুধবার (২৮ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মো. মহিউদ্দিন জানান,বৃহস্পতিবার ভোরে বরিশাল নগরের চাঁদামারি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় মো.আরিফ ইমরানকে (২৭)১০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। আরিফ ইমরান নগরের দক্ষিণ আলেকান্দার ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড এলাকার মো.আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
অন্যদিকে আরেক অভিযানে চাঁদমারিস্থ বঙ্গবন্ধু কলোনি এলাকা থেকে মো. রবিউল আউয়াল খান (১৯) নামে এক তরুণকে ৩৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকেন। রবিউল পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার উত্তর ভবানীপুর এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

এরআগে বুধবার দিনগত রাতে এসআই মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম পোর্ট রোড এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় মো. রাজু মল্লিক (১৮) নামে এক যুবককে ১৫ পিস ইয়াবা ও ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম কেশবকাঠী এলাকার মো. শাহজাহান মল্লিকের ছেলে এবং বরিশাল নগরের সাগরদী মদিনা মসজিদ এলাকায় ভাড়া থাকতেন।একই রাতে এসআই সৈয়দ খায়রুল আলমের নেতৃত্বে বরিশাল নগরের উত্তর সাগরদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সিরাজ মিয়া ওরফে সিরাজ বক্স (৪০) ও আমিনুল হাওলাদার আমিনকে (৩০) সাত পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।আটক সিরাজ নগরের নবগ্রাম রোডস্থ রুইয়ার পোল এলাকার মো. মতি মিয়ার ছেলে এবং আমিন নগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় সড়কের মৃত জাহাঙ্গীর হাওলদারের ছেলে।এরআগে বুধবার ভোরে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ও নগরের জর্ডন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই জনকে আটক করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

আটক দুই জন হলেন- গাজী মাকসুদুল আলম নান্টু (৪২) ও ইমদাদুল হক রাজন কাজী (২২)। এসময় জাহিদ ও সজল নামে তাদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায় বলেও জানা গেছে।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন,ভোরে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর এলাকা থেকে মাকসুদুল আলম নান্টুকে আটক করা হয়। এরপর তার বাসা থেকে ছয় হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে নান্টুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরের জর্ডন রোডে জাহিদ ও সজলের ভাড়া করা বাসায় অভিযান চালানো হলে আরও ১৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় সজল ও জাহিদ পালিয়ে গেলেও তাদের সহযোগী ইমদাদুল হক রাজন কাজীকে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি টাকা। যা এ যাবৎকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন পুলিশ কমিশনার।

Top