বঙ্গোপসাগরের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ


পটুয়াখালী: বঙ্গোপসাগরের পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে আছে এ জলজ প্রাণীগুলো।গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সৈকতে অধিকাংশ এলাকায় অসংখ্য মরা জেলিফিশ বালুতে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসব মাছের মধ্যে কোনোটা আকারে ছোট, কোনোটা বড়।তবে এগুলো কি কারণে মারা যাচ্ছে এর সঠিক কারণ কেউ বলতে পারছেন না। জেলেরা বলছে সমুদ্রে এত পরিমাণ জেলিফিশ বেড়েছে যে আমরা সাগরে জাল ফেলতে পারছি না।এদিকে, মৃত মাছগুলো এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে গোটা সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত। গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে এসব জেলিফিশ আটকা পড়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।পর্যটকরা বলছেন, এগুলো দ্রুত সরিয়ে না নিলে পচে গিয়ে সৈকতের পরিবেশ দূষিত হবে।স্থানীয় জেলেরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের জালে বিপুল পরিমাণ জেলিফিশ ধরা পড়েছিল। তারা জাল থেকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছেন। বর্তমানে জেলিফিশ সমুদ্রে এতটাই বেড়েছে যে, জেলেরা বাধ্য হয়ে সমুদ্র থেকে জাল উঠিয়ে নিয়ে আসছেন।

ফিশারিজ বিভাগের গবেষকদের মতে, জেলিফিশ গভীর সমুদ্রের মাছ। সমুদ্রের পানিতে কোনো বিপর্যয় বা পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসাটাই শঙ্কা। জেলিফিশ বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। একটি প্রজাতি মিঠাপানিতে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত পানির ওপরভাগে ভাসমান অবস্থায় থাকে। গভীর সমুদ্রে জেলিফিশের হরেক রকম জাত রয়েছে। এদের বিশেষ ধরনের দংশন কোষ আছে। এগুলো স্পর্শ করলে শরীর চুলকায়, ঘা হয়ে যেতে পারে। এমনকি মানুষ মারাও যেতে পারে। তাই কাঠ বা লোহা দিয়ে তুলে এ মাছগুলো বালুতে পুঁতে ফেলা উচিত।কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত কয়েক দিন থেকে এসব জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়ছে। পরে জেলেরা ফেলে দেওয়ায় মরা মাছগুলো সৈকতের বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সবকিছু ঠিক হয় যাবে।

Top
%d bloggers like this: