আইএইচটির ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএইচটির ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক :বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীদের কোয়ার্টারের একটি ভবনের তৃতীয় তলার কক্ষ থেকে ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী। অন্তরা পানুয়া (২২) নামের ওই ছাত্রী আইএইচটি’র ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিসাখালী গ্রামের বাসিন্দা অনুকুল চন্দ্র পানুয়ার কন্যা সে। সিলেটের বানিয়াচং সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের আউট সোসিং কর্মচারী তাপস হালদারের স্ত্রী অন্তরা। ছাত্রীর স্বামী তাপস হালদার বলেন, স্ত্রীর পড়াশুনা দেয়ার খরচ নিয়ে পরিবারের সাথে একটু মনোমালিন্য রয়েছে। এ নিয়ে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। আমি সিলেট থাকি। ও (স্ত্রী) থাকে তাকে বরিশাল। তাই কল করে, এসএমএস দিয়ে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফেইসবুকে দেয়া ষ্ট্যাটাস দেখে ধারনা করছি আত্মহত্যা করেছে।পরিদর্শক আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, ছাত্রীর ফেইসবুকে দেয়া ষ্ট্যাটাস দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারন বলতে পারবো।তিনি আরো জানান, একদিন আগে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেনীর কোয়ার্টারের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে সুমাইয়া নামের আরেক সহপাঠি উঠেছিলো।

সুরাইয়ার বরাতে পরিদর্শক আমানুল্লাহ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তরার কক্ষের দরজা বন্ধ পায়। তখন জানালা দিয়ে অন্তরাকে ফ্যানের হুকে সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে তাদের খবর দেয়। তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
সুমাইয়া সাংবাদিকদের জানান, আইচএইচটির সদ্য বদলি হওয়া শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম সুমন ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। তার মাধ্যমে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন।শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম সুমন বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীর থাকার কোন স্থান ছিলো না। তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট খালি থাকায় তাদের সেখানে থাকতে বলা হয়েছিলো।আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর স্বামী জানান, বদলী হওয়া শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে সন্তানের মতো দেখেছেন। তার কারনেই আমার স্ত্রী থাকার জায়গা পেয়েছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে অনেকেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন যা ঠিক নয়।আইএচটির অধ্যক্ষ ডা. মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী যাদের বিয়ে হয়েছে তারা অনেকেই বাহিরে থাকেন। অন্তরাও হোস্টেলে না থেকে বাহিরে থাকতো। তবে সে কোথায় থাকতো সেটি আমরা জানতাম না। সকালে তার আত্মহত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। মৃত্যুর কারণও আমি বলতে পারবো না।

Top