জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড়
পাখি আক্তার:ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি,মাংস বিলি আর রান্না-খাওয়ায় উৎসবের আমেজে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন সারাদেশের মুসলমানরা।কিন্তু সারাদিন এভাবে পার করলেও বিকেল হতে না হতেই স্বজন-সন্তানদের নিয়ে বিনোদনকেন্দ্র মুখি হয়েছেন নগরবাসী।সোমবার(১২ আগস্ট)বরিশালের কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ। যারমধ্যে রয়েছে-বঙ্গবন্ধু উদ্যান,মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক,ত্রিশ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক,প্লানেট ওয়ার্ল্ড,কালিজিরা ব্রিজ,শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রিজ, চৌমাথা লেকসহ কীর্তনখোলা নদী ও নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। আবার নগরের বাইরে বাবুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাসাগর,উজিরপুরের বায়তুল আমান (গুঠিয়া) জামে মসজিদ,দোয়ারিকা-শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদনমুখি মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।এছাড়া নগরের আমানতগঞ্জের শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক,নগরের বান্দরোড সংলগ্ন গ্রিন সিটি শিশু পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও প্রেক্ষাগৃহ,খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনায় ঘুরে ঘুরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে দেখা গেছে অনেককেই।আর এসব বিনোদন স্পটের বেশিরভাগেই টিকিট কাটা,লাইনে দাঁড়ানোর কোনো ঝক্কি-ঝামেলা নেই।আবার খুদ্র ব্যবসায়ীদের কল্যাণে প্রতিটি বিনোদন স্পটেই অল্প টাকায় মিলছে বাহারি রকমের খাবার-দাবার।শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্কে শিশু সন্তান সাওদাকে নিয়ে ঘুরতে আসা কামাল হোসেন বলেন,সারাদিন মাংস কাটাকাটির মধ্যে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হয়েছি।এদিকে কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কসহ বিভিন্ন স্পটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। পরিবার-পরিজন ছাড়াও বন্ধু ও প্রিয়জনকে নিয়েও এসব জায়গাতে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে অনেকেই স্বজনদের নিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।মাহিনুর বেগম নামে এক কর্মজীবী নারী বলেন,ডেঙ্গুজ্বর আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতেই কীর্তনখোলার তীরে এসেছি।