চোরাচালানীদের বোমার আঘাতে গুরুতর আহত বিজিবি সদস্য ঢাকায় মারা গেছেন
মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরেরশার্শা উপজেলার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে চোরাকারবারীদের নিক্ষিপ্তবোমায় গুরুতর আহত বিজিবি হাবিলদার আকমল হোসেন (৫২)ঢাকা সিএমএইচ ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় সোমবার সকালে মারা গেছেন।সে পাঁচভুলাট সীমান্তেখুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টহলে নিয়োজিত ছিলেন।হাবিলদার মোঃ আকমল হোসেন রংপুর জেলারমিঠাপুকুর উপজেলারখোর্দ্দকোমরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।মৃত্যুকালেতিনি স্ত্রী, তিন কন্যা এবং এক পূত্র সন্তান রেখে গেছেন।২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকারজানান,হাবিলদার আকমল হোসেন গত ২৬ জুলাই রাত আনুমানিক২ টায় পাঁচভুলট বিওপির একটি নিয়মিত টহল দলের দলাধিনায়কহিসেবে সীমান্তের ১৭/৭ এস এর ৯৮ আর পিলারের কাছেচোরাচালান প্রতিরোধে টহলে নিয়োজিত ছিলেন। ওই সময়েদু’টি ভারী ব্যাগ হাতে দু’জন ব্যক্তি এবং আরো কয়েকজন ব্যক্তিটহল দলের দিকে আসতে থাকলে সন্দেহবশতঃ টহল কমান্ডার হাবিলদারআকমল হোসেন তাদেরকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু তারা না থেমেহঠাৎ করে আকস্মাৎ একজনের হাতে থাকা ব্যাগটি হাবিলদারআকমলের দিকে নিক্ষেপ করে দৌঁড়ে পলায়ন কালে ব্যাগে রক্ষিতহাতবোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
এর ফলে বোমার স্পিøন্টারেরআঘাতে হাবিলদার আকমলের সমগ্র শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। একটিস্পিøন্টার তার বাঁ চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ করে মস্তিস্কেঢুকে যায়। আশঙ্কাজনকভাবে তাকে যশোর সিএমএইচে ভর্তিকরা হয়। ২৭ জুলাই সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায়হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকা সিএমএইচ-এ পাঠানো হয়।সেখানে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় সোমবার সকাল ৯ টা ২৫মিনিটে মারা যান।তার নামাজে জানাযা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সদর দপ্তর বিজিবি,পিলখানায় সম্পন্ন হবে। পরে বিজিবি’র ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহনিজ বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হবে বলে জানান বিজিবি‘র ওইকর্মকর্তা।উল্লেখ্য এ ঘটনায় ২৭ জুলাই ভোরে যশোরে শার্শা উপজেলারঅগ্রভূলোট সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে চোরাচালানীদেরবন্দুকযুদ্ধে সুজন (৩২) নামে একজন চোরাচালানী নিহত হয়।নিহত সুজন বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামেরমোস্তফা কামালের ছেলে।