এমএসএমইতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করার জন্য সুইসকন্টাক্ট
বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে লাফার্জহোলসিম স¤প্রতি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চামড়াজাত পণ্য খাতের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারিএন্টারপ্রাইজে (এমএসএমই) পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশলিমিটেডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা জিওসাইকেল বাংলাদেশ সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছেসুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ। এই বহুপক্ষীয় চুক্তির অধীনে, সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে বি-স্কিলফুল ফেজ ২ এবংপ্রবৃদ্ধি এই দুইটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা দেবেসুইসকন্টাক্ট।এ উপলক্ষে গত ২৩ জুন হোটেল আমারি ঢাকা’তে এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এ সময়অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দ‚তাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্টঅন্যান্যরা।এই সভায় ভৈরবের চামঢ়াজাত পণ্য খাতের কঠিন বর্জ্য থেকে সৃষ্ট পরিবেশ দ‚ষণ মোকাবিলা করার বিষয়েআলোচনা করা হয়। নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় বর্জ্য সংগ্রহ করে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করারবিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারিএন্টারপ্রাইজগুলোতে কাজের পরিবেশ উন্নত হবে, পরিবেশগত ঝুঁকি কমবে এবং সাশ্রয়ী ওপরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রচার ঘটবে – এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন সভায় উপস্থিত বক্তারা।এই অংশীদারিত্ব জলবাযু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশে পরিবেশগত উন্নয়ন প্রসঙ্গে সুইজারল্যান্ডেরসচেষ্টাকেও আরো শক্তিশালী করে তুলবে।বি-স্কিলফুল প্রোগ্রামটি ম‚লত সুইসকন্টাক্ট পরিচালিত একটি চার বছর মেয়াদী স্কিল এন্ডএন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, যেটি উন্নত কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে কর্মীদেরউৎপাদনশীলতা এবং টিকে থাকার যোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজগুলোর মধ্যে টেকসই পরিবেশগত অনুশীলনের প্রচারেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, প্রবৃদ্ধিপ্রোগ্রামটি বিস্তৃত কার্যপরিধির আওতায় শহুরে বা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ব্যবসায় উদ্যোগ সম‚হেরতুলনাম‚লক অগ্রগতি সাধন করে সাধারণ ও পেশাজীবিদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে।