দুই বোনকে গণধর্ষণ
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া: বাবা ও মায়ের অবর্তমানের সুযোগ নিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে এলাকার এক বখাটেসহ ছয় থেকে সাত যুবক।এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা মাদ্রাসার ছাত্রীর খালাতো বোনকেও (২২) ধর্ষণ করেন বখাটেরা।তার ২৪ মাস বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।রোববার (১৫ মে) রাতে ভিকটিমকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভিকটিমদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর মা বলেন, শনিবার বিকেলে তিনি তার ১৩ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে ও তার বোনের মেয়েকে বাড়িতে রেখে ডুমুরিয়ায় যান। ওই সময় তার স্বামীও বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় বাড়িতে ওরা দুই বোন ও আমার ছোট ছেলে ছিল। মধ্যরাতে সাতজন বখাটে আমাদের বাড়িতে আসেন। এদের মধ্যে কয়েকজন ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে দুই বোনের হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন আরও কয়েকজন। এ ঘটনার সময় আমার বোনের মেয়ের গলায় ছুরি ধরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাতে আমার মোবাইলে চার্জ না থাকায় মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে মেয়ে ফোন কল করে কান্নাকাটি করে গণধর্ষণের ঘটনা জানালে তিনি বাড়িতে ফিরে সব শোনেন। পরে রোববার রাতে তাদের খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়ে দুজনকে চিনতে পেরেছে। একজন নাম নাঈম আর একজনের নাম মুজাহিদ। এদিকে বটিয়াঘাটা থানা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জালাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিমের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। যেহেতু রাতগভীর হয়ে গেছে। তাই সকালে বিষয়টি দেখব।