চলছে ফাগুন মাস, শীতের তীব্রতাও কিছুটা কমেছে - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলছে ফাগুন মাস, শীতের তীব্রতাও কিছুটা কমেছে


এ বি এম তারেক:চলছে ফাগুন মাস, শীতের তীব্রতাও কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিছু এলাকায় আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। বসন্তের প্রথম দিনে ফাগুনের হাওয়ায় চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের ঘ্রাণ। আম চাষিরাও শুরু করেছেন বাগানের পরিচর্যা।
জেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির পাশে, সড়কের পাশে ও বাগানে আমগাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। বিশেষ করে কানসাট এলাকায় ভরে গেছে আমের মুকুলে। বসতে শুরু করেছে মৌমাছিও।পুকুরিয়া এলাকার আফসার আলী বলেন, আমি গত পাঁচ বছর থেকে আম চাষ করি। গত বছর আমার ২ বিঘা আশ্বিনা ও এক বিঘা হিমসাগর আমের বাগান ছিল। প্রথম থেকে পরিচর্যা করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। আম বিক্রি করে পেয়েছি প্রায় ৩ লাখ টাকা। এবার ওই তিন বিঘা জমির বাগানে ফের পরিচর্যা শুরু করেছি। আগাম মুকুল দেখার পর থেকে মনটা ভালোই লাগছে। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।সুন্দরপুর ইউনিয়নের ফারুক আলী বলেন, আমের বাগানে গত ১০ দিন থেকেই আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। তাই পরিচর্যাও শুরু করেছি। গত বছর আমার দুই বিঘা জমিতে লক্ষণভোগ আমের বাগান ছিল। তাতে আমার খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আর আমের দাম কম হওয়ায় ১ লাখ টাকার মতো পেয়েছিলাম।

আব্বাস বাজার এলাকার হাবিব আলী বলেন, আমার নিজ জমিতে দুই বিঘা হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে। তাই বাগান পরিচর্যা করা শুরু করেছি। কিছু গাছে মুকুল এসেছে। ভালো পরিচর্যা হলে সব গাছেই মুকুল আসবে। এই দুই বিঘা জমি থেকে গত বছর প্রায় আড়াই লাখ টাকার আম বিক্রি করেছিলাম। আর বাগান পরিচর্যায় খরচ হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার টাকা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত চার-পাঁচ বছর থেকে লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা। তবে গত বছর থেকে ব্যবসায়ীর লাভবান হতে শুরু করেছেন। আর এবছর বিভিন্ন ধরনের আমগাছ রোপণের ফলে চাষিরা ফের লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এবার এখন পর্যন্ত এ জেলার ১০ শতাংশ গাছে আমের মুকুল এসেছে। আশা করছি ৯০ শতাংশের বেশি গাছে এবার আমের মুকুল ফুটবে।

Top