অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করেছে বলে বার বার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন ফলাফল মিলছেনা - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করেছে বলে বার বার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন ফলাফল মিলছেনা


মোহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দীক ভুঁইয়া,বরিশাল:অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করেছে বলে বার বার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন ফলাফল মিলছেনা ।অত্র অঞ্চলের প্রভাব শালি ব্যক্তি দের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চালিয়ে আসছেন অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন কারখানাটি।বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরায় ভিতরে নদীরপাশ ঘেষে অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করছেন ফজলু। (মাহামারী করোনার সোবলে দেশ মানুষ দের সু-রক্ষার্থে মাঝে মাঝে লকডাউন ) এই সুজক কাজে লাগিয়ে তিন বছর সরকারী খাস জমিতে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। অঞ্চল থেকে গাছ কেটে এনে পুড়ে কয়লা উৎপাদন করে।বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাছ কেটে এনে পুড়ে কয়লা উৎপাদন করে এতে করে উজার হচ্ছে বন অঞ্চল,বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কৃষি উৎপাদন নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসম্য ।

এদিকে জানাযায়,গত মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলিক অফিসে গিয়ে অভিযোগ করা হয়।অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করেছেন ব্যক্তির নাম স্থান জানানো হয়।আরো জানানো হয় বরগুনা জেলা প্রশাসক ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পাথরঘাটা বন বিভাগ এবং পটুয়াখালী বন বিভাগ কে ।এই অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন চালিয়ে যেতে না পারে তাহার বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহনে কোন পক্ষই কাজের কাজ করেনি।তাই বাধ্য হয়ে গত সপ্তাহে সংবাদ কর্মীরা লিখিত অভিযোগ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলিক অফিসের পরিচালক বরাবর।অরো লিখিত অভিযোগ করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পাথরঘাটা বন বিভাগ বরাবর।অন্যদিকে জানাযায়,অত্র অঞ্চলের প্রভাব শালি ব্যক্তি দের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চালিয়ে আসছেন অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন কারখানাটি।অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করার ফলে পাশ্ব বতি এলাকার মানুষের স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এতে করে বারছে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগির সংখ্যা।কয়লা কারখানার তাপ ও ধোয়ার কারনে গাছ গুলো মরে যাচ্ছে কৃষি ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে।নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসম্য ।এবিষয় কাকচিরা এলাকার স্থানিও কৃষক রনোবির হালদান জানান,কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদ করার ফলে আমাদের এলাকার গাছগুলো মরে যাচ্ছে।ফসলের গায়ে কালো ধোয়ার আচল ছড়িয়ে পড়ছে কৃষি ফসলের উপার। ফলে কৃষি ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে।বড় বড় গাছও মরে যাচ্ছে কয়লা কারখানার তাপ ও ধোয়ার কারনে।প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে এই কাঠ পুড়ে কয়লা কারখানাটি চিরতরে বন্ধ করে এর মহাজনকে আইনের আওতায় আনা হয়।

কাঠ পুড়ে কয়লা কারখানার মালিক ফজলু বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরায় নদীর পাশ ঘেষে কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরি করে আসছি।সকল দপ্তরের লোক এখানে আসে এমপি আমার ভাই আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আমি কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরি করি।কত কাজ আছে বর্তমানে অবৈধ।বাংলাদেশে কোনটা বৈধ ! সকলের সাথে যোগাযোগ রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান সরকার বলেন,অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করেছে এমন অভিযোগ পেয়েছি।আমরা কাঠ পুড়ে কয়লা কারখানার বিরুদ্ধে নোটিস পাঠিয়েছি।কাউকে এধরনের কাজপরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।

বরগুনা জেলা প্রশাসকের মুটো ফোনে কলদিয়েও কথা বলা যায়নি।পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,পাড়ের নদীর পাশ ঘেষে অবৈধবাবে কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরি করছে এমর্মে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।সেখানে গিয়ে দেখে আইন আনুগব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পাথরঘাটারেঞ্জের বন বিভাগের অফিসার বলেন,আমি কাঠ পুড়ে কয়লা উৎপাদন করেছে এমন অভিযোগ পেয়েছি আগামি কাল যাব গিয়ে দেখে আইন আনুগব্যবস্থা গ্রহন করব।

Top