আগুনে পুড়লো কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যানের শতবর্ষী ঘর - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগুনে পুড়লো কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যানের শতবর্ষী ঘর


এবি সিদ্দীক ভুইয়া:বরিশালের বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তার শতবর্ষী সেগুন কাঠের ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।সোমবার (০২ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করেই ঘরটিতে মধ্যরাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করেন। তবে সে চেষ্টার মধ্যেই সবার চোখের সামনে শত বছরের স্মৃতি জড়িত পুরো ঘরটি পুড়ে যায়।কলসকাঠী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার জানান, ঘটনার সময় তার পরিবার বরিশালে এবং তিনি ঢাকায় ছিলেন। ফলে আটকে রেখে আসা ওই ঘরে কেউ ছিলেন না এবং ঘরের বিদ্যুতের মেইন লাইনের সুইচ বন্ধ করে রেখে এসেছিলেন তারা। দুর্ঘটনাজনিত কারণে আগুন লাগার কোন বিষয় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর নেভাতে গিয়ে বাড়ির পাশ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছে স্থানীয়রা। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শত্রুতামূলক এ ঘরটিতে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, শতবর্ষী সেগুন কাঠের ওই ঘরটিতে আমাদের অনেক স্মৃতি, যা আগুনের সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার দাদা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার, বাবা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তালকুদারসহ দুই চাচা এই ঘরে থেকেই জনগনের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। যাদের হাত ধরে এই ঘরে থেকেই আমিও বাবার মৃত্যুর পর জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি। কিন্তু সেই ঘরটি কয়লা আর ছাইয়ে রুপান্তরিত হয়েছে।এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, রাতে যখন আগুন লাগে, তখন ঘড়টিতে কেউ না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে টিনের ওই ঘরের সঙ্গে থাকা দোতলা ভবনটিরও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

Top