বাণিজ্যিক ব্যাংকে শেয়ারের বিপরীতে ডিভিডেন্ডে নতুন নীতিমালা
আলোকিত বার্তা:চলমান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো।রোববার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন।
প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এর আগে ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৩.৫ শতাংশ থেকে অনূর্ধ্ব ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১২.৫% নগদসহ মোট ২৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। আর প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.৮৭৫% মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫% নগদসহ ১৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। এরূপ যে সব ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের পরিমাণ ১১.৮৭৫% এর কম হবে সে সব ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ খ (৩) এ উল্লিখিত পরিমাণ অনুসৃত হবে। প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যে সব ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫% বা তার বেশি হয় সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ নগদসহ ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যে সব ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.৮৭৫% থেকে অনূর্ধ্ব ১২.৫% হয় সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা এর আগে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সে সব ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ অন্যূন ১০.৬২৫ শতাংশ থেকে অনূর্ধ্ব ১১.৮৭৫ শতাংশ হয় সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্র হতে সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য হবে।