ঈদুল ফিতরের আগে এক হাজার ৩৯৬ পোশাক কারখানায় বেতনভাতা ও বোনাস দেয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদুল ফিতরের আগে এক হাজার ৩৯৬ পোশাক কারখানায় বেতনভাতা ও বোনাস দেয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।


আলোকিত বার্তা:ঈদুল ফিতরের আগে এক হাজার ৩৯৬ পোশাক কারখানায় বেতনভাতা ও বোনাস দেয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এতে চরম শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। ফলে কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে বামপন্থী ১১টি শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে। এসব সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’। সেই সঙ্গে ১০টি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থাও (এনজিও) মদদ দিয়ে যাচ্ছে।সরকারের একটি সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এখনও অর্ধেকের বেশি পোশাক শ্রমিক এপ্রিল মাসের বেতন পাননি।বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, আশুলিয়া, সাভারসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ হচ্ছে।মঙ্গলবারও হয়েছে। সরকার ঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকা তহবিল থেকে ঋণ পেলেও খোদ বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-ভুক্ত অর্ধেকের বেশি কারখানা বেতন দেয়নি। এ পরিস্থিতির জন্য ব্যাংকের ওপর দোষ চাপাচ্ছে কারখানা মালিকরা।শিল্প পুলিশের তথ্য মতে, সারা দেশের সাত হাজার ৬০২টি পোশাক কারখানার মধ্যে সোমবার পর্যন্ত এপ্রিলের বেতন দিয়েছে তিন হাজার ১৭৫টি। চার হাজার ৪৭২টি বেতন দেয়নি।বেতন পরিশোধে এগিয়ে আছে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (বেপজা) ভেতরের কারখানাগুলো। আর পিছিয়ে বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো।বিজিএমইএ সদস্য এক হাজার ৮৮২টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৯৯১টি, দেয়নি ৮৯১টি। বিকেএমইএ সদস্য এক হাজার ১০১ কারখানার মধ্যে বেতন হয়েছে ৩৮৮টির, হয়নি ৭১৩টির। বিটিএমএ সদস্যভুক্ত ৩৮৯টির মধ্যে বেতন হয়েছে ১৯৮ কারখানার।

বেপজার ভেতরের ৩৬৪ কারখানার মধ্যে ৩০৪টিই বেতন দিয়েছে। অন্যান্য তিন হাজার ৮৬৬টির মধ্যে দুই হাজার ৫৭২টি কারখানা বেতন দেয়নি।জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন,শ্রমিক অসন্তোষের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে শিল্পপুলিশ কাজ করছে।তারা মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। কেউ যদি শ্রমিকদের উসকে দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর ২৫ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। তবে বেতন ও বোনাস নিয়ে এরই মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে।ওভারটাইম ও বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা অবস্থান,সড়ক অবরোধ,ভাংচুর এমনকি মালিকের বাসা পর্যন্ত ঘেরাও করেছে।এ পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিনে এক হাজার ৩৯৬ কারখানা শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে সমর্থ হবে বলে সংশয় রয়েছে।

এর মধ্যে ৪৭৩টি কারখানা অধিক সংশয়যুক্ত, ৪৭৬টি সংশয়যুক্ত ও সাধারণ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৪৪৭টি। এদের মধ্যে বিজিএমইএ-ভুক্ত কারখানা ৫৯৬টি, বিকেএমইএ-ভুক্ত ১৭৯টি, বিটিএমইএ-ভুক্ত ৫১টি, বিজেএমসি-ভুক্ত তিনটি এবং সাব কন্ট্রাকভুক্ত কারখানা ৫৬৭টি। এসব কারখানায় বেতন পরিশোধ করতে না পারলে রাস্তা অবরোধ, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতা চলতে পারে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৭ মে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাউন্সিল ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে ছুটিতে থাকা শ্রমিকদের ৬৫ শতাংশ ও কর্মরতদের শতভাগ বেতনভাতা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়।চলতি মাসে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু পরদিন গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলন এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে। তারা দাবি করে, ‘রাষ্ট্রের অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাটা না হলেও নিু আয়ের পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাটা মালিকদের অন্যায় পদক্ষেপ।’ এ পরিস্থিতিতে তাদের ইন্ধনে আশুলিয়ায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা শতভাগ বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও ভাংচুর করে।

পোশাক খাতে সক্রিয় বিদেশি ১০ এনজিওর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এগুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার এডুকেশন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিস (বিআইএলএস), এসএফ-ইউনাইটেড ফেডারেশন অব ড্যানিশওয়ার্কার বাংলাদেশ, জিআইজেড, সোলিডারিটি সেন্টার, ওয়ার্কার রাইটস কোসোটিয়াম, ক্লিন ক্লোথ ক্যাম্পেইন (সিসিসি), বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার সোলিডারিটি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিস ট্রাস্ট ব্লাস্ট এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন বাংলাদেশ। এসব এনজিওর কর্মকাণ্ড নজরে রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।এর পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে চাপা উত্তেজনা ও অস্থিরতা রয়েছে। এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল, শ্রমিক সংগঠন ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এ পর্যন্ত এক হাজার ৩৯৬ কারখানার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার গেলেও আরও অনেক কারখানায় বেতন বোনাস না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এতে সবাই জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে পারে। বেতন পরিশোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে নানা সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সেইসঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কারখানাগুলোকে বাধ্য করার বিষয়েও। বলা হয়েছে, ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই বা কারখানা লে-অফ করা যাবে না। শ্রমিকরা যেন ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে না পারে সেজন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে ঋণ নিতে দুই হাজার ২০০ কারখানার মালিক আবেদন করেছে। এর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা এক হাজার ৬১৫টি; বিকেএমইএ-ভুক্ত ৫৫০টি।বাকি ৩৫টি ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত কারখানা। ৪৬ ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা পড়া এসব আবেদনে তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ চাওয়া হয়েছে।এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাবে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে।শিল্প পুলিশের তথ্য সঠিক নয় দাবি করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড.রুবানা হক। তিনি বলেন,সোমবার পর্যন্ত সদস্যভুক্ত এক হাজার ৫০৯টি কারখানায় এপ্রিলের বেতন দেয়া হয়েছে। আর ৩৩টি কারখানা বোনাস দিয়েছে। বিজিএমইএ’র সব কারখানা ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ করবে।

বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রমিকদের এপ্রিলের বেতনের সব কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। এখন ব্যাংক টাকা শ্রমিকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠাবে। এতে ব্যাংক ব্যর্থ হলে দায় মালিকরা নিতে পারবে না।তিনি আরও বলেন, অনেক কারখানার আবেদন ব্যাংকগুলো প্রসেসই করেনি। এর দায় মালিকদের দেয়া যাবে না। শিল্প এলাকায় শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার দাবি জানান তিনি।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বলেন,নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিয়ে যেসব কারখানা আবেদন করেছে,তাদের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে অনেক আগেই টাকা পাঠানো হয়েছে।ব্যাংক আবেদন প্রসেস করেনি বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শনিবার মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকার-মালিক-শ্রমিক পক্ষের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বিজেএমইএ-বিকেএমইএ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ৫০ ভাগ ঈদ বোনাস দেয়া হবে। বাকি ৫০ ভাগ পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে বেতনের সঙ্গে দেয়া হবে। যেসব মালিক পুরো বোনাস দিতে পারবেন, তারা পুরোটাই দেবেন। আর যারা একসঙ্গে পুরোটা দিতে না পারবেন, তারা গত বছর যে বোনাস দিয়েছে, তার অর্ধেকটা দেবে।

তবে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, বোনাস কখন, কীভাবে দেয়া হবে তার কিছুই জানেন না তারা। বোনাসের অর্থ মোবাইলে পাঠানো হবে, নাকি নগদ দেয়া হবে সে বিষয়েও অন্ধকারে আছেন তারা।জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, সরকার গতবারের ৫০ শতাংশ বোনাস ঈদের আগে দেয়ার কথা বললেও অনেক কারখানা তা মানছে না। মাঝারি আকারের ও সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা বেশির ভাগ কারখানা সরকারি শ্রমিকদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা বোনাস দিতে পারবে না। বোনাস না দেয়ায় মিরপুরে কারখানা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার বলেন, বোনাস তো দূরের কথা। যে ধীরগতিতে এপ্রিলের বেতন দেয়া হচ্ছে, তাতে ঈদের দিনও সব কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাবে না কিনা সন্দেহ আছে। মালিক পক্ষের গাফিলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা তহবিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেটা শ্রমিকদের পকেট পর্যন্ত যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে যতটা উদ্যোগ নেয়া দরকার ছিল, তা করা হয়নি। ফলে মালিকরা স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের তথ্য দিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা-মিরপুর (ঢাকা) : বেতন-বোনাসের দাবিতে রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের একটি গার্মেন্ট কারখানার কয়েকশ’ শ্রমিক বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকার ওপেক্স গ্রুপের একটি গার্মেন্টের শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে সড়কে চলে আসেন। বিক্ষোভের কারণে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ভাসানটেক সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিলে বেলা ৩টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। এর আগে তারা সোমবারও বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিক মিজান বলেন, আমাদের দুই মাসের ও ঈদের বোনাস বাকি।

গাজীপুর : সদর উপজেলার বাঘেরবাজারে ইভেন্স গ্রুপের তিনটি পোশাক কারখানার প্রায় সাত হাজার শ্রমিক বেতন বোনাসের দাবিতে দুপুর ১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করে। কারখানা অবরোধের পাশাপাশি তারা বিকাল ৩টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কও অবরোধ করে। ৫টার দিকে ধাওয়া দিয়ে মহাসড়ক থেকে পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ : ফতুল্লায় ফকির নিটওয়্যার লিমিটেডের সহস্রাধিক শ্রমিক বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের কায়েমপুর-হাজীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, কারখানা ভাংচুর করে। এ সময় করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের বিষয়ে পরিদর্শনে আসা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়।শ্রমিকদের ইটের আঘাতে দুই কর্মকর্তার গাড়ির ২ চালকের মাথা ফেটে গেছে। এ সময় গাড়ি রেখেই প্রাণ বাঁচিয়ে চলে আসেন জেলা করোনা সমন্বয় কমিটির ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে।

সাভার (ঢাকা) : ৬৩৫ জন শ্রমিকের ছাঁটাই বাতিল, বন্ধ কারখানা খোলাসহ বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছেন আশুলিয়ার তিন কারখানার শ্রমিকরা। আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন হ্যাং টং বিডি লিমিটেড, আইডিএস গ্রুপ ফ্যাশন ফোরাম লিমিটেড ও সিনহা নিট ডেনিম লিমিটেডের শ্রমিকরা।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভরাডোবায় এক্সপিরিয়েন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ও হ্যারি ফ্যাশন লিমিটেডের প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও জিএমের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় মালিক পক্ষের লোকজন হামলা করে এক শ্রমিককে আহত করায় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : বেতন বোনাসের পাওনা ও ছাঁটাই বন্ধ করার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণ কোরিয়ান ক্যাপ (টুপি) তৈরির কারখানা পিএন্ডজি এর ৮শ’ শ্রমিক। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুই ঘণ্টা পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন পিএনজির সম্মুখে শ্রমিকরা অবস্থান নেয়। পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Top