দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল


আলোকিত বার্তা:মহামারি আকারে ছড়াতে থাকা করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর মিছিলে নতুন করে যোগ হচ্ছে প্রতিদিন। দেশের মধ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।এ সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে দেশের তৈরি পোশাকখাতেও।একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে।শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত এক হাজার ৯২টি কারখানায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে বলে বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।তাছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে,করোনা ভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৯২টি কারখানার ৯৪৩ কোটি ১২ লাখটি অর্ডার বাতিল হয়েছে।যার আর্থিক পরিমাণ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব কারখানার মোট ২০ লাখ ১৬ হাজাট শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে।বিজিএমইএর মতে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ভয়াবহ অবস্থা দেশের পোশাক খাতে বিরাজমান। বিভিন্ন দেশ থেকে সব ক্রেতারা তাদের সব ক্রয়াদেশ (অর্ডার) আপাতত বাতিল করছেন। বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে এ খাতে।এর আগে ২৬ মার্চ শ্রমিকদের সুরক্ষায় পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কেউ চাইলে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে এমন কারখানাগুলো খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি খোলা রাখা কারখানাগুলোকে শ্রমিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিকদের সব দায়িত্ব মালিকদের নিতে হবে।

অর্ডার বাতিলে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড.রুবানা বলেন,ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের তৈরি পোশাকখাতে।বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশ থেকে সব ক্রেতারা তাদের সব ক্রয়াদেশ(অর্ডার) আপাতত বাতিল করছেন। তারা বলেছেন স্থগিত, তবে আমাদের জন্য স্থগিত ও বাতিল একই জিনিস।অন্যদিকে বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। বিকেএমহএ সভাপতি সেলিম ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, সবার মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা আমার শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবো। আমি বাসায় থেকে কারখানা চালাবো আর শ্রমিক এ অবস্থায় কারখানায় কাজ করবে এটা হয় না।

Top