কে কোন প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন স্পষ্ট হবে কাল - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বরিশালে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা গচ্চা নির্বাচনি সমীকরণে ওলটপালট রাজনীতি ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা গাজায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ৭০০র বেশি স্বজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল ঢাকা-১১ আসনে নাহিদকে শুভ কামনা জানিয়ে সরে গেলেন শিবিরের সাবেক সভাপতি হাসনাতের আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জামায়াত প্রার্থীর ভোটকেন্দ্র মেরামত,সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ইসির নির্দেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ

কে কোন প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন স্পষ্ট হবে কাল


নুর নবী জনী:জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী বদলের হিড়িক চলছে।বিভিন্ন দলের মধ্যে চলছে জোট গঠনের প্রক্রিয়ায়ও।এ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন,তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নিজ দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যয়ন জমা দিতে হবে।আর স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হলেও সেটিও উল্লেখ করতে হবে মনোনয়নপত্রে। এর মধ্য দিয়েই মূলত কে কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন,আর কে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন,তার প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে।তবে কে কোন দলের প্রতীকে ভোট করবেন তা কিছুটা স্পষ্ট হবে সোমবার। এদিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। ওই সময়ের পর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। এর আগে যে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। আবার কোনো আসনে একই দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে ওই সময়ের আগে একজনকে চূড়ান্ত করবেন।

১৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তির তারিখ ১০-১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন,ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যারা প্রার্থী হতে চান, তাদেরকে আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এবং সবাইকে আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবে। রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে দলটির নেতারা অন্য দলে যোগ দিয়ে অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন।

এবার জাতীয় নির্বাচনের প্রধান আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধন এনেছে ইসি। এতে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে প্রার্থীদের স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ বিধানের ফলে আগের মতো জোটবদ্ধ দলগুলোর বড় দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণেই বড় দল ও জোটে প্রার্থী পরিবর্তন চলছে। কয়েকটি দলের নেতা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করার লক্ষ্যে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী তাদের কয়েক প্রার্থী সরিয়ে দিয়ে জোটের অন্য দলগুলোকে ছাড় দিতে যাচ্ছে।

Top