চিকিৎসার প্রয়োজনীয় টাকা যোগাড় করতে না পেরে কারো কারো মৃত্যুও হয়
মু.এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া:চিকিৎসার প্রয়োজনীয় টাকা যোগাড় করতে না পেরে কারো কারো মৃত্যুও হয়।অবশেষে শিক্ষকদের এই ভোগান্তি ঘোঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট।অবসরের পর কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের।প্রতি মাসে বেতনের একটা অংশ তারা এই ফান্ডে জমা দেন অবসর জীবন কিছুটা স্বাচ্ছন্দে কাটানোর আশায়।কিন্তু,নানা অনিয়মজনিত অনিশ্চয়তায় অনেকের পুরো অবসর জীবনই কেটে যায় কল্যাণ ফান্ডের টাকা ছাড়াতে।সরাসরি শিক্ষকদের হাতে টাকা পৌঁছানোর জন্য আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকটনিক্স ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে তারা। এবার তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে।
প্রথম দফায় মুক্তিযোদ্ধা,অসুস্থ, মৃত ও কন্যাদান শিক্ষক কর্মচারীদের ৫১৭টি আবেদনের বিপরীতে মোট ৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানোর জন্য অ্যাডভাইস দিতে বলা হয়েছে।চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী, ট্রাস্টি বোর্ডে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ, মৃত ও কন্যাদায়গ্রস্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জমা করা ৫১৭টি আবেদনের বিপরীতে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১১৭ টাকা ইএফটিতে পাঠানো হবে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই পরবর্তী প্রয়াত চার জন ও গুরুতর অসুস্থ দশ জনসহ মোট ১৪টি আবেদনের বিপরীতে এক কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ১৭৬ টাকাসহ সর্বমোট ৫৩১টি আবেদনের বিপরীতে ৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৯৩ টাকা পাঠানো হবে। ইএফটিতে টাকা যাবে জনতা ব্যাংকের ঢাকা জেলার ঢাকেশ্বরী রোড শাখার মাধ্যমে।