ঝুঁকিতে স্থানীয়রা আবাসিক এলাকায় গ্যাসের ডিপো - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিতে স্থানীয়রা আবাসিক এলাকায় গ্যাসের ডিপো


নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল:বরিশাল নগরীর আবাসিক এলাকায় লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের ডিপো স্থাপন করায় ঝুঁকিতে রয়েছে র‌্যাব-৮, বেতার ভবন ও স্থানীয়রা। বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জেলা প্রশাসন আবাসিক এলাকা থেকে এলপিজি গ্যাসের ডিপো অপসারণের নির্দেশ দিলেও তা অপসারণ করেনি অমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।জানা গেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ৭ দিনের মধ্যে ডিপো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও ২৫ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তা অপসারণ করা হয়নি। এতে গ্যাস ডিপোর বিপরীত পাশে থাকা র‌্যাব-৮ এর কার্যালয়, বাংলাদেশ বেতার বরিশালের কার্যালয় ও আশপাশের আবাসিক এলাকায় লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এ কারণে ওই এলাকার মায়ের দোয়া নামের ৬তলা ভবন মালিক আনিসুর রহমান গ্যাস ডিপো সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেন।

জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শককে নির্দেশ দেন। বিষয়টির তদন্ত করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন তারা। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র সংলগ্ন রূপাতলী এলাকায় ‘মায়ের দোয়া’ নামের ছয়তলা আবাসিক ভবনের পাশে অমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড অনুমোদন বিহীনভাবে এলপিজি সিলিন্ডারের ডিপো স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ও বিস্ফোরক পরিদপ্তর জননিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে রিপোর্ট দেন।ফলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডকে সাত দিনের মধ্যে গ্যাস ডিপো অপসারণের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন। কিন্তু রিপোর্ট প্রদানের ২৫ দিন পার হলেও তা অপসারণ করা হয়নি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের ডিপো থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তারা দ্রুত ডিপো অপসারণের দাবি জানান।এলপিজি গ্যাসের ডিলার মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমি এই ডিপো স্থাপনের জন্য জমির মালিককে ২২ লাখ টাকা অ্যাডভান্স করেছি। আমিও এখানে ডিপো রাখতে চাই না, জনগণের ক্ষতি করে। এখানে ঝুঁকি আছে। টাকা পেলেই ডিপো সরিয়ে নেওয়া হবে।অমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, যদি নির্দেশনা দেওয়ার পরও আবাসিক এলাকা থেকে গ্যাস ডিপো সরিয়ে না নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Top