কোরআন ছুঁয়ে শপথ করার বিধান - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বরিশালে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা গচ্চা নির্বাচনি সমীকরণে ওলটপালট রাজনীতি ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা গাজায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ৭০০র বেশি স্বজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল ঢাকা-১১ আসনে নাহিদকে শুভ কামনা জানিয়ে সরে গেলেন শিবিরের সাবেক সভাপতি হাসনাতের আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জামায়াত প্রার্থীর ভোটকেন্দ্র মেরামত,সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ইসির নির্দেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ

কোরআন ছুঁয়ে শপথ করার বিধান


আলোকিত বার্তা:অনেকে অন্যের মাথা ছুঁয়ে, মাজার বা পীরের নামে শপথ করে। কিন্তু ইসলামী বিধান মতে এগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।এমনকি তা শিরক ও সবচেয়ে বড় গুনাহ। হাদিস শরিফে আছে,যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করে,সে অবশ্যই কুফরি বা শিরক করল। ’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ১৫৩৫)শপথ আল্লাহ তাআলার নামে করতে হয়। কিন্তু কেউ কোরআন স্পর্শ করে শপথ করলে, সে শপথ রক্ষা করা জরুরি।কারণ কোরআন আল্লাহর তাআলার পবিত্র কালাম। তাই এভাবে শপথ করাও এক ধরনের কসম। তবে মুসলিম উম্মাহর পূর্বসূরীরা এ ধরনের কোনো কাজ করেননি।কেউ যদি এভাবে কসম করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তা পূরণ করতে হবে। কোরআন আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালাম হওয়ার কারণে কোরআনের মর্যাদা কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন করা যাবে না।আল্লাহর নামে কসম করলে যেমন তার মর্যাদা রক্ষা করা জরুরি, তেমনি কোরআন ছুঁয়ে শপথ করলেও এর মর্যাদা রক্ষা করা আবশ্যক।কোনো ব্যক্তি আল্লাহর নামে করা শপথ ভঙ্গ করলে ‘কাফফারা’ স্বরূপ তিনটি কাজের যেকোনো একটি করতে হবে।

এক. ১০ জন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণির খাদ্য সকাল-বিকেল দুই বেলা খাওয়াতে হবে। এটি অর্থমূল্যে দিতে চাইলে প্রত্যেককে পৌনে দুই কেজি গম বা তার অর্থমূল্য দিতে হবে।

দুই. ১০ জন দরিদ্রকে ন্যূনতম ‘সতর ঢাকা’ (শরীরের যতটুকু অংশ ঢাকতে হয়) পরিমাণ পোশাক-পরিচ্ছদ দান করতে হবে।

তিন. ক্রীতদাস থাকলে একজনকে মুক্ত করে দিতে হবে। কেউ যদি এ আর্থিক কাফফারা দিতে সমর্থ্য না হয়, তার জন্য কাফফারা হলো তিনটি রোজা রাখা। হানাফি মাজহাব মতে, ওই রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখতে হবে।

কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করে, তাহলে তার কাফফারা হলো কালেমা ত্বাইয়েবা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি শপথ করতে গিয়ে লাত ও উজজার (আরবের মূর্তির) নামে শপথ করে বসে, সে যেন বলে, ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৩৪০৯)

অহেতুক ও কাজে-অকাজে শপথ করা ইসলাম সমর্থন করে না। আবার শপথ ভঙ্গ করাও ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। উপরন্তু শপথ ভঙ্গ করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। তাই শপথ করার ক্ষেত্রে অত্যধিক সতর্ক থাকা জরুরি।

Top