শুরুটা যদিও ভালো হয়নি, তবে পথ হারায়নি বাংলাদেশ



নুর নবী জনী : শুরুটা যদিও ভালো হয়নি, তবে পথ হারায়নি বাংলাদেশ। জাকের-শামিম মিলে প্রথমে ধস থেকে টেনে তুলেন দলকে, আর আরো একবার দলকে জিতিয়ে আনেন নুরুল হাসান সোহান।তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শারজায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। যেখানে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান করে আফগানিস্তান। যা ৫ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ।
এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডসের পর আফগানদের হারিয়ে টানা চারটি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।১৪৮ রানের ছোট লক্ষ্য। আগের দিন প্রায় সমান রান অনায়াসেই তাড়া করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ ইমন ও তানজিদ তামিম মিলেই গড়েন ১১.৩ ওভারে ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।তবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে ১.২ ওভারে মাত্র ৩ রানে। তানজিদ তামিম মাত্র ২ রান নিয়ে ফেরেন ওমরজাইয়ের শিকার হয়ে। চতুর্থ ওভারে এসে তিনিই ফেরান ইমনকেও, ৫ বলে ২ রান করেন তিনি।
তবে একপ্রান্ত দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান। তবে তার প্রচেষ্টাও বড় হয়নি। ৪.৪ ওভারে ১৪ বলে ১৮ রান নিয়ে মুজিবুর রহমানের শিকার হন। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় দল।সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জাকের আলি ও শামিম পাটোয়ারী। দু’জনে গড়েন ৩৭ বলে ৫৬ রানের জুটি। যখন মনে হতে থাকে বিপদমুক্ত এখন দল, তখনই ফেরন জাকের আলি।
২৫ বলে ৩২ রান করে রশিদ খানের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শামিমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলকে তিন অঙ্কে পৌঁছে দিয়ে শামিম ফেরেন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ২২ বলে ৩৩ করে।
এরপর নুরুল হাসান সোহান ও নাসুম আহমেদ মিলে টানতে থাকেন দলকে। তবে ১৭তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন নাসুম (১০)। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ১২২ রান।এরপর সোহানকে রেখে সাইফুদ্দিন (৪) ও রিশাদ হোসেন (২) আউট হলে শেষ দিকে প্রয়োজন হয় ২ ওভারে ১৯ রান। তবে নুর আহমেদের করা ১৯তম ওভারেই ১৭ রান তুলে নেন সোহান-শরিফুল মিলে।শেষ ওভারে যখন প্রয়োজন ২ রান, তখন প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল। সোহান ২১ বলে ৩১ ও শরিফুল অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১১ করে।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকে আফগানরা। পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রান তুলে কোনো উইকেট না হারিয়েই। প্রথম উইকেটের পতন হয় ৭.৫ ওভারে। ৫৫ রানের জুটি ভেঙে আতালকে ফেরান রিশাদ।আতাল টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকানোর পর ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৯ বলে ২৩ করে৷ পরের উইকেট আসে ১০.৩ ওভারে ৭১ রানে। ইবরাহীম জাদরানকে ফেরান নাসুম আহমেদ। ৩৭ বলে ৩৮ করে আউট হন তিনি।এরপর ১২তম ওভারের প্রথম বলে চারে নামা ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে (১) ফেরান রিশাদ। চতুর্থ উইকেটের পতন হয় ১৩.৩ ওভারে, দরবেশ রাসুলি ফেরেন ৯ বলে ১৪ রান করে।
১৪ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৯২। এরপর রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই মিলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও জুটি বড় হয়নি। ২২ বলে ৩০ রান করা গুরবাজকে ফেরান শরিফুল।এরপর মোহাম্মদ নাবিকে নিয়ে শেষ ২২ বলে ২৯ রান যোগ করেন ওমরাজাই। তিনি ১৭ বলে ১৯ ও নাবি অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২০ করে। শরিফুল ১৩ রানে ১, নাসুম ও রিশাদ নেন দু’টি করে উইকেট।