৩ মাসের মধ্যে চালু হবে সিলেটে ক্যানসার হাসপাতাল
প্রতিবেদক,আলোকিত বার্তা :আগামী ৩ মাসের মধ্যে সিলেটের ক্যানসার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যানসার হাসপাতাল চালু হবে।গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিদর্শন করা। ক্যানসার হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তারা দেখতে এসেছেন কাজ কতদূর অগ্রসর হয়েছে এবং সম্পূর্ণ হতে আর কত সময় লাগবে।যাতে করে সিলেটের ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে যেতে না হয়।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে নির্মিতব্য ক্যানসার ইউনিটের কাঠামোগত উন্নয়ন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জটিলতা কাটিয়ে ‘আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হবে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ হাসপাতাল চালু করলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।তিনি আরও বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গঠনমূলক ও কাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চিকিৎসকদের বসার মতো উপযুক্ত জায়গাও নেই, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করছি।জেলা প্রশাসক বলেন, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যা একটি বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে। প্রতিনিধি দল মূলত নতুন ভবনের কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন। আশা করছি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে এ ভবনের কাজ সম্পন্ন হবে এবং রোগীদের সেখানে স্থানান্তর করা যাবে।
জেলার এই কর্তা ব্যক্তি বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে এরই মধ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছেন, কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৫০০ শয্যার জনবল থাকলেও রোগী সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তার সঙ্গে রোগীর স্বজনদের অতিরিক্ত ভিড় ব্যবস্থাপনা আরও জটিল করে তোলে। আমরা এ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা আশা করছি! খুব শিগগিরই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্বিক সেবার মান উন্নত হবে এবং এ অঞ্চল একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতালসহ আধুনিক চিকিৎসা সুবিধায় সমৃদ্ধ হবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।