দুই দিনে একটিও মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়নি ২ হলের



প্রতিবেদক,আলোকিত বার্তা :মনোনয়ন ফরম বিতরণের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও দুই হলের একটি ফরমও নেয়নি কোনো প্রার্থী।সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়। এদিন ছিল চাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহের দ্বিতীয় দিন।টানা দুই দিন ধরে চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ। এতে মোট মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে ১৬৯ জন।কেন্দ্রীয় সংসদে প্রার্থী হতে মনোনয়ন সংগ্রহে আগ্রহী হলেও হল সংসদে মনোনয়ন নিতে অনিহা শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন মোট ফরম বিক্রি হয় ২৮টি। এর মধ্যে মাত্র ২টি মনোনয়ন বিক্রি হয় হল সংসদের। দ্বিতীয় দিন ফরম বিক্রির ১৪১টি। এর মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীদের ১৩টি হল সংসদের ফরম বিক্রি হয় ৭০টি। এতে ৯ টি ছাত্র হলে থেকে ২৫টি এবং ৪৫টি নেওয়া হয় ৫টি ছাত্রী হল থেকে। অবাক করা বিষয়, গত দুই দিনে একটি ফরমও বিক্রি হয়নি ছেলেদের দুই হল আলাওল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হল থেকে।
এছাড়া শাহ জালাল হল, সোহরাওয়ার্দী হল, মাস্টার দা সূর্য সেন হল সংসদের জন্য ২টি করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে প্রার্থীরা। তবে অতীশ দীপঙ্কর হল থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে ৪ জন, এ এফ রহমান হল থেকে ৩ জন, শহীদ আব্দুর রব হল থেকে একটি মাত্র মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। তবে শাহ আমানত হল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ১২টি মনোনয়ন।অন্যদিকে, দ্বিতীয় দিনে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হল সংসদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি।
সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্যানুযায়ী, প্রীতলতা হল ৫টি, সামশুননাহার হল ৬টি, খালেদা জিয়া হল ১১টি, বিজয় ২৪ হল ১৫টি, নবাব ফয়জুন্নেছা হল ৯টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে।শিক্ষার্থীর দাবি, হল সংসদের প্রার্থীদের কাজের ক্ষেত্র কম থাকায় প্রার্থী হতে আগ্রহ কম এসব পদগুলোতে। চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনির উদ্দিন জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে চলছে। দুই দিনে ১৬৯টি ফরম বিতরণ করা হয়েছে। জমা পড়েছে ২টি। আরও একদিন সময় আছে, আশা করছি এ দুই দিন আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে।হল সংসদে মোট পদ রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদ ছাড়া ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।