সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সংসদ দরকার - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সংসদ দরকার


মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম:জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার সংস্কার করছে, কিন্তু এই সংস্কার তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সংসদ দরকার। আর সংসদের জন্য দরকার জাতীয় নির্বাচন। যদিও সরকার নির্বাচনের কথাও বলছে। কিন্তু আদৌ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা- তা নিয়ে সন্দেহ আছে।শনিবার রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন দলটির দশম জাতীয় কাউন্সিলে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় তিন হাজার কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আর জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এছাড়াও কাজী ফিরোজ রশিদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং মো. মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘অবাধ-সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য দরকার। কিন্তু সরকার তা করছে না। আমি সরকারকে বলব, বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করুন।তিনি বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। সারা দেশে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, দখলবাজি চলছে। মানুষ খুন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাংবাদিরাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। একটি অস্থির পরিবেশ পুরো বাংলাদেশে। এই অবস্থায় কিভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব বোধগম্য নয়।ব্যারিস্টার আনিস বলেন, ‘যারা আজ চাঁদাবাজি করছে, তারা সবাই রাজনৈতিক দলের সমর্থক। এই চাঁদাবাজি রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করতে হবে।তিনি আরও বলেন, ‘সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের দুর্নীতি চোখে পড়ে না। ক্ষমতা থেকে গেলেই দুর্নীতির মামলা হয়। আবার ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতির মামলা উঠে যায়।

এর আগে সকালে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু। প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। স্বাগত বক্তব্য দেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু।উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন- কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আকতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, আরিফুর রহমান, নুরুল ইসলাম মিলন, জিয়াউল হক মৃধা, খান ইসরাফিল খোকন। এছাড়াও কাউন্সিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি-জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য দিদারুল আলম দিদার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়।

পরে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে জাতীয় পার্টি গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম জহির নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব হিসেবে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম ঘোষণা করেন। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মোস্তফা আল মাহমুদ এবং আরিফুর রহমান খান।

Top