খুঁটির জোর কোথায়!স্বৈরাচার সরকারের আমলা সিন্ডিকেটের দোসর হয়েও রয়েছেন বহাল তবিয়তে
নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজের পথ পদবীর চেয়েও নিয়ম বহির্ভূতভাবে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।ফায়ার সার্ভিসে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো হেড অফিসে সক্রিয় রয়েছেন।তাদের মধ্যে অন্যতম তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।তার চাকরি জীবনে দুর্নীতি ও অনিয়মের অসংখ্য অভিযোগ। তার দুর্নীতি ও অনিয়মের ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠলেও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে।এমনকি সামান্য তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা মনে করেনি তারা।বিগত ফেসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যেসব প্রশাসন ও আমলাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম সেইসব আমলা সিন্ডিকেটের অন্যতম ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় হওয়ার সুবাদে ফায়ার সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি পেয়েছেন তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার জোরে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া ঢাকায় হেড অফিসে কর্মরত এই কর্মকর্তা শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।বার বার দুদকের মুখা -মুখি করা হলেও আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি হওয়ার সুবাদে অদৃশ্য ইশারায় পার পেয়ে যায় বার বার।নিজের অবৈধ সম্পদ রক্ষা ও হেড অফিসে থাকার জন্য এবং অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় আসলে তার ক্ষমতা পদ পদবী থেকে সরে গিয়ে দুদকের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে।ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হিসেবে নিজ এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি হয়ে উঠেছেন।যেসব আমরা সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে সাবেক জনপ্রশাসন সচিব মেজবা উদ্দিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরীর ভাগ্নে ও সাবেক বিচারপতির ধর্ম পুত্র ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক প্রশাসন মোজাম্মেল হক।
স্বৈরাচারী শক্তির ক্ষমতার জোরে উপসচিব হয়েও যুগ্ম সচিবের পদ ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সহযোগী উপসচিব মোজাম্মেল হক গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন সংস্কারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের চেয়ারে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।উপ সচিব মোজাম্মেল হককে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক পদে টিকিয়ে রাখতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দুর্নীতিবাজ মহল সহ সচিবালয়ে ওত পেতে থাকা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের সঙ্গে মিলেমিশে একজোট।সাবেক মহাপরিচালক থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাদের নিজের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে তটস্থ রাখতেন তিনি।প্রধান বিচারপতি ও স্বরাষ্ট্র সচিবের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে নিজেকে জাহির করায় তাকে কেউ কিছু বলার মত সাহস ছিল না।একাধিক সুত্র জানায় সাবেক বিতর্কিত প্রধান বিচারপতি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর ওবায়দুল হাসানের পারিবারিক ঘনিষ্ঠজন হিসাবে বেশ পরিচিত উপসচিব মোজাম্মেল হক।স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসোর আমলা সিন্ডিকেটের অন্যতম একজন উপসচিব হয়েও বহাল তবিয়তে তিনি।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গল্প সকলের নিকট ওপেনসিক্রেট।স্বৈরাচারের দোসর মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত সংবাদের পরেও বর্তমান ডিজি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে রীতিমত নীরব দর্শক হিসেবে চুপ রয়েছেন।
যে সুযোগে সচিবালয় শেখ হাসিনার বহাল থাকা প্রেতাত্মারা মোজাম্মেলকে পদে বহাল রাখতে মোটা অংকের অর্থ চুক্তির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।বর্তমান ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে বহাল থাকা দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে নতুন মহাপরিচালক।অধিদপ্তরে দায়িত্বে থাকা বর্তমান কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশ স্বৈরাচার সরকারের আমলে সুবিধাবাদী। যারা বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত হলেও রয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক প্রশাসন মোজাম্মেলের সাথে প্রতিবেদক বার বার যোগাযোগ করেও তার সাক্ষাৎকার পায়নি।
বৈষম্য বিরুদ্ধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন,ছাত্র জনতার উপর হামলা মামলায় প্রশাসনে বসে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কি করে এখনো হেড অফিসে রয়েছে। তাকে হেড অফিস থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন,তা না হলে আমরা ছাত্র জনতা ফায়ার সার্ভিস সংষ্কার আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হব।
তার এলাকার এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য। আওয়ামী লীগের তথ্য সন্ত্রাস সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছরিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে মহাপরিচালক,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, অভিযোগ পত্র এখনো পাইনি।হাতে পেলে তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।