পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় ‘ছাত্রলীগের হামলা’, আহত ৭
ইমন হাওলাদার:জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভায় ছাত্রলীগের লোকজন হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন।তাদের মধ্যে দুজন পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভা শুরু হলে হামলা ঘটনা ঘটে। আহত সমন্বয়কারীরা হলেন পিরোজপুরের সমন্বয়কারী রেদওয়ানুল ইসলাম ও ইমরান হোসেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।হামলার ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় সমন্বয়কারীরা পুনরায় তাদের মতবিনিময় সভা শুরু করেন।জানা গেছে, দুপুরে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভার আয়োজন করে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টিম প্রধান হিসাবে আ. হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এসএম সাঈদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, জিহাদ হোসেন, শাহিদুল ইসলাম শাহিদ, ফারিয়া সুলতানা লিজা যোগ দেন।এ সময় মুসাব্বির মাহমুদ সানি নামে এক ছাত্রলীগ নেতা সভায় এসে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে তার অন্যান্য সহযোগী হামলা চালায়। এতে পিরোজপুরের সমন্বয়কারী রেদওয়ানুল ইসলাম ও ইমরান হোসেন আহত হন।সমন্বয়ক রেদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ তাদের মতবিনিময় সভায় হামলা করে।
এতে তিনি সহ কয়েকজন আহত হন।এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী আসমা আরা মিতু জানান, গত ৫ আগস্ট আমাদের আন্দোলনের পরে যখন বিজয় এসেছে তখন আমাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ে। সেই থেকে আমাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়। তারাই আজকে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছ। আমাদের মধ্যে ছাত্রলীগ ঢুকে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সাগর সানি শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ছিলেন না। আন্দোলনের শেষে তিনি যোগ দিয়ে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। আমাদের সভায় হামলায় তিনি ও তার লোকজন সরাসরি জড়িত।এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মুসাব্বির মাহমুদ সানি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি হামলার সময় ষ্টেজে ছিলাম। তারা নিজেরাই হামলা করেছে।পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলছেন, অন্য কথা। তার দাবি, সভায় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। নিজেরা বসা নিয়ে হাতাহাতি করেছে বলে শুনেছি। তারপরও যদি কিছু হয়ে থাকে, কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।