সাংবাদিকতার নামে ছ্যামরামি করে ক্লাস ফাঁকি দেয়া,তিনি এখন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,তখন নানা প্রশ্ন
মো.ইমন হাওলাদার:শিক্ষা বহির্ভুত কাজ যেমন রাজনীতি, নোট-গাইডের ব্যবসা, সাংবাদিকতার নামে বিজ্ঞাপনের কমিশন খাওয়া ও চাঁদাবাজি করাসহ নানা লাভজনক কাজে ব্যস্ত থাকেন এমপিওভুক্ত ও ননএমপিও শিক্ষকরা। এবং তারাই কৌশলে জাতীয়করণের বিরোধীতা করেন। কারণ, জাতীয়করণ হয়ে গেলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে। অপরদিকে লাখ লাখ নিরীহ সাধারণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।এমপিও শিক্ষকরা শিক্ষা বহির্ভুত কাজে যুক্ত থাকেন আর শিক্ষা ক্যাডারসহ অন্যান্য আমলারা সরকারকে চোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন এই যে চেয়ারম্যান সাহেব যদি সরকারি শিক্ষক হয়ে যান তাহলে তার আচরণ কি রাতারাতি বদলাবে? চেয়ারম্যানের শিক্ষা জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ ইত্যাদি। অপরদিকে প্রকৃত শিক্ষাবিদরা বলে থাকেন, সাংবাদিকতার নামে ছ্যামরামি করে ক্লাস ফাঁকি দেয়া,তিনি এখন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,তখন নানা প্রশ্ন আর সাংবাদিকতা পেশার বারোটা বাজায় এরাই।
এছাড়া ডিসি, ইউএনও, ওসি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দালালি করে সারাদেশের মুষ্টিমেয় এমপিওভুক্ত ও ননএমপিও শিক্ষক। ছ্যাঁচরামির পুরস্কার পায় ফি বছর। শ্রেষ্ঠ তকমা জোটে।ছেলেমেয়েদেরকেও শ্রেষ্ট তকমা জুটিয়ে দেন এসব নামধারী শিক্ষকরা। অথচ শিক্ষাবোর্ডের বিধান ও এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে বেসরকারি শিক্ষকরা কোনো লাভজনক বা অলাভজক কিছুতে যুক্ত হতে পারবেন না। ঘুষখোর জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারার এই বিধান জানলেও প্রকৃত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান।আবার কোনো কোনো জেলা প্রশাসক ডিসি সম্মেলনে উত্থাপনের জন্য এমপিওশিক্ষকদের অন্য পেশায় যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ চেয়ে সুপারিশ করেন। কিন্তু ওইসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না।