ব্যাংক ঋণ ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা‘রহস্যে ঘেরা’ - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যাংক ঋণ ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা‘রহস্যে ঘেরা’


মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম:যে সম্পত্তির বিপরীতে ব্যাংক ঋণ দেয়নি, ঋণ আদায়ের জন্য সেই সম্পত্তিই নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে। পৌনে চার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায় করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের আটতলা ভবন বিক্রির নিলাম ডাকা হয়।মাত্র ৯ কোটি টাকায় বিক্রির দরপত্র অনুমোদন করে উচ্ছেদের নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ভবনটির নিচতলার স্পেস কিনে নেওয়া ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে তারা ভবন মালিকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করাসহ দেওয়ানি আদালতে মামলা করেছেন।ভবন মালিক ব্যবসায়ীদের মালিকানা অস্বীকার করা ছাড়াও ব্যাংকের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। পালটা অভিযোগ করেছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে নানা রকম স্ববিরোধী প্রশ্ন আর একের পর এক রহস্যের ছাপ বেরিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি এখন উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।১৩ ডিসেম্বর ফুলবেঞ্চে শুনানির পর আপিল বিভাগ ২ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত রিট নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ঋণ দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও করপোরেট শাখা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায়।

এ বিষয়ে ভবনটির প্রয়াত মালিক মনিরউদ্দিন খানের ছেলে মোখলেছুর রহমান টুটুল যুগান্তরকে বলেন, তারা গভীর চক্রান্তের শিকার। ভবনের সাবেক ভাড়াটিয়া প্যারাগন সুয়েটার্সের মালিক জিও ফারুক ওরফে জাহাঙ্গীর আলম এবং ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ঋণ নিয়ে জালজালিয়াতি করা হয়েছে। তারা এ ঋণ ও মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।রহস্যজনক কারণে ব্যাংক আসল ঋণগ্রহীতা জিও ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কৌশলে তাকে রক্ষা করেছে। ভুয়া কাগজপত্র উপস্থাপন করে উলটো তাদের পৈতৃক সম্পত্তি নিলামে বিক্রির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আরা সুলতানা গনি বুধবার বলেন, ভবনটির মালিক মনির উদ্দিন খান ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান প্যারাগন সুয়েটার্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য তার সম্পত্তি নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত আদালত দিয়েছেন। তার সন্তানরাও পুরো বিষয়টি জানেন। তবে সুদ মওফুক করে শুধু মূল টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা রেসপন্স করেনি। এখন অর্থ আদায়ে যা কিছু হচ্ছে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হচ্ছে।নিলামে তোলা আলোচ্য আটতলা ভবনটি রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত। যার হোল্ডিং নম্বর নং-৭০ বি সিএন্ডবি। জমির পরিমাণ ১০ কাঠা। এটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের পুনর্বাসন প্লট। বরাদ্দ সূত্রে প্লটটির মালিক মনির উদ্দিন খান ওরফে মনু খান। রাজউকের অনুমোদন সাপেক্ষে ১৯৮৬ সালে তিনি প্লটটিতে আটতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নিচতলায় রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মনু খান মারা যান ২০১৫ সালে। বর্তমানে তার ওয়ারিশ হিসাবে আছেন ছেলে মোখলেছুর রহমান টুটুল ও মেয়ে হাফিজা খাতুন পান্না। স্ত্রী শুফরান নেছাও বেঁচে নেই।

এদিকে জিও ফারুক ওরফে জাহাঙ্গীর আলম নামে জনৈক ব্যবসায়ী ২০০১ সালে ভবনটির ৪র্থ তলা হতে ৭ম তলা পর্যন্ত চারটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে গার্মেন্টস কারখানা চালু করেন। নাম দেওয়া হয় প্যারাগন সুয়েটার্স লিমিটেড। ২০০৪ সালে জিও ফারুক তার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার বাড়ির জমি বন্ধক (যার দলিল নং ২০৩৯) রেখে অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শাখা থেকে গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনার জন্য ২৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ভবন মালিক মনির উদ্দিন খানকে তার গার্মেন্টস ব্যবসায় পার্টনার হিসাবে যুক্ত করে পরিচালক বানান।এরপর তাকে কোম্পানির চেয়ারম্যানও করা হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন জিও ফারুক এবং আর একজন পরিচালক হিসাবে ছিলেন জিও ফারুকের স্ত্রী রত্না দেওয়ান। এরপর গার্মেন্টের কাঁচামাল আমদানির নামে অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শাখা থেকে ধাপে ধাপে ফোর্স লোন নেন।

ব্যাংক থেকে নেওয়া সমুদয় ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ার অজুহাতে দেখিয়ে তিনি খেলাপি হন। একপর্যায়ে গার্মেন্টস বন্ধ করে বিদেশে চলে যান। টাকা আদায়ের জন্য অগ্রণী ব্যাংক ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করে।ব্যাংক কর্মকর্তারা দাবি করেন, জীবিত অবস্থায় কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসাবে এ মামলা ফেস করেন মনির উদ্দিন খান। ২০১৫ সালে তিনি মারা গেলে ওয়ারিশ হিসাবে ব্যাংক তার সন্তানদের মামলায় পক্ষভুক্ত করে নোটিশ করা হয়। ২০১৮ সালে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে ডিগ্রি বা রায় হয়।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, রায় হওয়ার পর টাকা আদায়ের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরাসরি কয়েকবার প্রয়াত মনু খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এমনকি সুদ মওকুপ করে মূল টাকা পরিশোধের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তার সন্তানেরা সেটি আমলে নেননি। একপর্যায়ে আদালত নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী তিনজন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে একজনের কাছে ৯ কোটি টাকায় ভবনসহ প্লটটি বিক্রি করা হয়।বর্তমানে সুদে আসলে ব্যাংকের সমুদয় পাওনা টাকার পরিমাণও প্রায় ৯ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে আদালতের মাধ্যমে নিলাম গ্রহীতা ৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি ৪ কোটি টাকা দিয়ে তারা রেজিস্ট্রি করে নিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে ভবন মালিক পক্ষের রিটের কারণে বিষয়টি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।ভুক্তভোগী মোখলেছুর রহমান টুটুল কাছে দাবি করেন, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। তারা মিথ্যা বলছেন। বরং কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে এ রকম ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে তাদের ভাড়াটিয়া জিও ফারুক।তিনি বলেন, তার বাবা কোনো লেখাপড়া জানতেন না। কোনোমতে নাম সই করতেন। খুবই সহজ-সরল লোক ছিলেন। তারা ধারণা করছেন, বাবা যখন ভাড়ার রসিদ দিতে যেতেন তখন হয়ত কোনো কাগজে সই নিয়েছেন জিও ফারুক। এরপর বাবাকে জিও ফারুক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্যারাগন সুয়েটার্সের পরিচালক বা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করেন।

এরপর ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঋণ নেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একপর্যায়ে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে বিদেশে চলে যান। তিনি বলেন, জিও ফারুকের নামে রাজধানীর উত্তরা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও কুমিল্লার মুরাগনগরে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। অথচ ব্যাংক রহস্যজনক কারণে তার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে ব্যাংক মামলা করেছে ২০১১ সালে। আর তারা জানতে পেরেছেন ১০ বছর পর ২০২১ সালে। ব্যাংক যখন নিলাম পর্ব শেষ করে তখন তারা জানতে পারেন। অথচ তাদের কাছে ব্যাংক কখনও কোনো নোটিশ পাঠায়নি। তিনি মনে করেন, খেলাপি ঋণের মামলা নিয়েও ব্যাংক লুকোচুরি করেছে। প্রকৃত সত্য ফাঁস হয়ে যাবে বলে গোপনে অর্থ ঋণ আদালত থেকে একতরফাভাবে রায় নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতবড় মূল্যবান সম্পদ আমরা এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। উচ্চ আদালতে রিট করেছি। আদালত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে বিষয়টি এখন হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হবে।

অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার সিনিয়র অফিসার (আইন) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, টুটুল সাহেবের বেশিরভাগ বক্তব্য সত্য নয়। তিনি সবকিছু জেনেও সত্য গোপন করছেন। আমাদের শাখার সাবেক ম্যানেজার সৈয়দ একরামুল হককে সঙ্গে নিয়ে ওই ভবনের আটতলায় তার বাসায় গিয়ে সরাসরি কথা বলেছি। তখন তিনি টাকা পরিশোধ করতে রাজি হননি। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা এখন শেষ ধাপে আছি। সব রায় ব্যাংকের পক্ষে আছে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিও ফারুকের সঙ্গে তার কখনও দেখা হয়নি। ফাইলে থাকা উনার আগের কোনো ফোন নম্বর চালু না থাকায় তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারেনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের পুনর্বাসন প্লট। যে কারণে আদালতের রায়ের বিষয়টি পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।এদিকে ভনটির নিচতলায় থাকা পজিশন কিনে নেওয়া ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কায় থানায় জিডি করেছেন। ১০ অক্টোবর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। যার নং ৫৬২। জিডি করেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. আওলাদ হোসেন। সেখানে তারা ভবন মালিক টুটুলকে দায়ী করেন।আওলাদ হোসেন জানান, তার বাবা আব্দুর রশীদ ১৯৮৬ সালে স্ট্যাম্প ডিডের মাধ্যমে দোকানের ১৭৫০ স্কয়ার ফিট স্পেস কিনে নিয়েছেন। তাদের মতো আব্দুল মজীদ, আব্দুল গফুর, নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, সঞ্জিত মণ্ডল, জয়নাল আবেদীন ও আবুল খায়ের নিচতলায় দোকানের পজিশন কিনে নেন। বিগত ৪০ বছর ধরে তারা ব্যবসা করে আসছেন। কয়েক মাস আগে হঠাৎ একদিন পুলিশ এনে নিলাম করা হয়েছে মর্মে ভবনের গেটে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আমরা এ রকম খবর জানতে পারি এবং আমাদের সবার মাথায় বিনা মেঘে বজ পাত পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমার বাবাসহ আবুল খায়ের দেওয়ানি আদালতে মামলা করেছেন। বাকিরা ১ জানুয়ারি করবেন।আওলাদ অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। যে কারণে ভবন মালিকসহ আমরা ব্যবসায়ীরা মিলে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও সে সুযোগ ব্যাংক দেয়নি। মূলত পানির দরে এই মূল্যবান সম্পত্তি নিলামে কিনে নিতে প্রভাবশালী মহল নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে। তবে তাদের অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন।

এ ঘটনায় প্যারাগন সুয়েটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি জিও ফারুক ওরফে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ছেলে শীষ মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার পিতা অস্ট্রেলিয়া আছেন। যোগাযোগ করার জন্য ফোন নম্বর চাইলে তিনি জানান, ‘বাবার সঙ্গে কথা না বলে দিতে পারবেন না’।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের গার্মেন্ট তো অনেক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। আর লোন তো আমার বাবা নেননি। লোন নিয়েছেন চৌধুরীপাড়ার পার্শ্ববর্তী ড্রাগন গার্মেন্টসের মালিক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ওরফে ওসি কুদ্দুস।’ এরপর আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। একপর্যায়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।সূত্রমতে, এ সংক্রান্ত ঋণ ফাইলে সাবেক ওসি কুদ্দুসের নাম-গন্ধ কোথাও নেই। কিন্তু জিও ফারুকের ছেলে শীষ মোহাম্মদের দেওয়া এমন তথ্যে ‘রহস্যেঘেরা ঋণ’ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম নিয়েছে। তবে ভবনটির ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, শীষ মোহাম্মদের এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ভবনে এক সময় ওসি কুদ্দুসের গার্মেন্টস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকে তার যে ঋণ ছিল তা অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

Top