জনতার পাশে জনপ্রিয় মানুষ!আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনতার পাশে জনপ্রিয় মানুষ!আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল


মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দীক ভুইয়া : বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন জনতার পাশে জনপ্রিয় মানুষ ! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ ও বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপশি যুবকদের দিয়ে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নৌকায় ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছেন।এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করছেন। ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন ছাত্র জীবনে তিনি শিক্ষাবোর্ডে শ্রেষ্ঠ ছাত্রদের একজন হয়ে ছিলেন।পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত অধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জাকিরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।

তিনি ১৯৭৯ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী অধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জাকিরের পক্ষে নির্বাচন করে বিএনপি দলীয় প্রার্থী শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে একে ফাইজুল হকের সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।পরে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। চাকরিকালে তিনি জার্মানি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি জার্মানিতে প্রশিক্ষণকালে চ্যান্সেলর পদক পান।তিনি অবসরকালে দীর্ঘ বছর ধরে মার্চেন্ট নেভিতে ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করান। বিভিন্ন সময় মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, মন্দিরসহ সকল প্রতিষ্টানেে উন্নয়ন এবং অসহায় মানুষকে আর্থিক সাহায্য দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণসহ বৃত্তি প্রদান করে আসছেন।

অন‍্যদিকে একটি সুত্রের দাবি পর পর তিন বার আওয়ামী লীগের মনোনীত ব্যাক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সত্বেও বিগত ১০ বছরে উজিরপুরে আশানুরুপ উন্নয়ন না হওয়ায় খোদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিসহ সাধারন মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ সংসদীয় এলাকায় আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপ সৃস্টি করে নিজেদের পছন্দের লোকজনের পকেট ভারী করেছেন। কোন সংসদ সদস্য রাজনৈতিক বিরোধে না জড়ালেও উজিরপুরের উন্নয়নে কোন ভুমিকাই রাখেন নি। এলাকার প্রতিটি সড়ক যেনো মড়ন ফাঁদ। এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতা কর্মিরা অস্বস্তিতে রয়েছেন। এতো কিছুর কারনে এলাকাবাসী সৎ ও যোগ্য আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থির দাবী করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আবারো সবার কাছে আলোচনায় এসেছে বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নাম। কারণ হিসেবে এলাকাবাসী জানান, ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন একজন শিল্পপতি। নির্বাচনী এলাকা থেকে তার নেওয়ার কিছু নেই। ইচ্ছে করলে সরকারী অর্থায়র ছাড়াও নিজের অর্থায়নে এলাকার উন্নয়ন করতে পারবেন। এ কারনে তিনি সবার থেকে যোগ্য প্রার্থি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, ইতোপূর্বে উজিরপুর ও বানারীপাড়ার কচিকাচা ও কোমলমতি শিক্ষার্থিদের মাঝে ১৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থিদের মাঝে ১ কোটি টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে নতুনন ইতিহাস গড়েছিলেন এ জন নন্দিত নেতা। শুধু শিক্ষা বৃত্তিই নয়, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করছিলেন কোটি টাকা মুল্যের শিক্ষা উপকরন বিতরন কর্মসূচি। এ কারনে তিনি উজিরপুর ও বানারীপাড়ায় ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছিলেন।

সূত্র আরো জানায়, বরিশাল-২ উজিরপুর বানারীপাড়া সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে নানান উন্নয়নমুলক কাজের পাশাপাশি সমাজ সেবা ও জনসেবায় নিজেকে নিযুক্ত করে রেখেছেন বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন। নির্বাচনী এলাকা উজিরপুর ও বানানরীপাড়ার মানুষের সুখ দু:খে তাদের পাশে থাকার চেষ্ঠা করেছেন তিনি। বিশেষ করে গরীব মেহনতি মানুষের জন্য তার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন অনেক আগ থেকেই। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মসজিদ-মন্দির মাদ্রাসায় তার অনুদান সবার মুখে মুখে। খেলাধুলা ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে আর্থিক অনুদানসহ নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তাদের আপনজন হিসেবে । এছাড়া নিজের ১৮ টি প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষকে চাকুরী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। শুধু শিক্ষা বৃত্তি-শিক্ষা উপকরন ও আর্থিক সহায্যই নয়, বরিশালের শেষ সীমান্ত শিবপুর-কোটালী পাড়া এলাকায় ৪শ একর জমির উপর নির্মিত মাছের ঘের ও ফলের বাগান সাধারন মানুষের জন্য অনেকটাই উন্মুক্ত রেখে নিজেকে দানবীর হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ মাছের ঘের থেকে যে কোন গরীব মানুষ তাদের প্রয়োজনে মাছ শিকার করতে পারছেন বলে জানান ওই এলাকার একাধিক মানুষ।

বাকপুর এলাকার শাকিল নামের এক বাসিন্দা বলেন, তিনি অনেক শিল্পপতি ও ব্যাবসায়ী দেখেছেন, কিন্ত‘ ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো এমন উদার মনের মানুষ দেখেন নি। যে কোন গরীব মানুষের কন্যা কিংবা ছেলের বিয়ের জন্য যে মাছের প্রয়োাজন হয় তা ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনের মাছের ঘের থেকে বিনা টাকায় পাওয়া যায়। এ এলাকার মাছের ঘের তৈরীর পর থেকেই এমন সুবিধা পাচেছন এখানকার মানুষ।

উজিরপুরের ধামরাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ৯ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্র কাইয়ুম বলেন, ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো ভালো মানুষের বড়ই অভাব। তিনি আমাদের জন্য কোটি টাকার শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোটি টাকার শিক্ষা উপকরন বিতরণ করবেন বলে শুনেছি। এর চেয়ে আমাদের আর কিছুই চাওয়ার নেই। শুধু ধামরাইল নয়, উজিরপুর বানারীপাড়ার অসংখ্য শিক্ষার্থি ও তাদের অভিভাবকরা ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেনের এমন কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এ আসনে প্রার্থি হলে মানুষ সত্যিই তাকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী করবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আউয়াল বলেন, ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন একজন ভালো মানুষ। তিনি এখানে এমপি প্রার্থী হলে সকল শ্রেনীর মানুষের সমর্থন পাবেন। এ আসনে তার মতোই একজন ভালো মানুষের দরকার যে সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি নিজের টাকাও খরচ করতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমরা সত্যিই অবহেলিত ও বঞ্চিত। আমাদের এখানে যারা এমপি হন তারা মানুষকে দিতে নয়, মানুষের কাছ থেকে নিতে আসেন। এটা আমাদের জন্য সত্যিই দূর্ভাগ্য।

বানারীপাড়ার চাখার এলাকার বাসিন্দা মো: ফাইজুল নাহার বলেন, ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম যেভাবে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে তাতে অন্য কোন প্রার্থি তার ধারে কাছেও নেই। বরিশাল-২ আসনে তার মতোই একজন দানবীর এমপি দরকার। তাহলেই অবহেলিত এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।

এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তিনি এমপি হওয়ার জন্য নয়, বিবেকের তাড়নায় এসব কাজ করছেন। তিনি দেখেছেন, টাকার অভাবে অনেক শিক্ষার্থি বই খাতা কিনতে পারে না, এমনকি পড়ানের জন্য ভালো পোশাক কিনতে পারে না। এসব মেধাবী শিক্ষার্থিদের কথা বিবেচনা করেই তিনি শিক্ষা বৃত্তি চালু ও শিক্ষা উপকরন বিতরন করছেন।তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেলে নিজ এলাকার পাশাপাশি বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করবো। এছাড়া বেকার যুবকদের আত্মকর্র্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্প কারখানা স্থাপন করবো। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে ১টি নার্সিং ইন্সটিটিউট এবং ১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনেরও প্রতিশ্র“তি দেন তিনি।আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দেন তবে তিনি নির্বাচন করতে প্রন্তুত।

Top