জমির মালিক নিঃসন্তান সালমা বেগমের ওয়ারিশ দাবিদার একলাছ কে ? - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমির মালিক নিঃসন্তান সালমা বেগমের ওয়ারিশ দাবিদার একলাছ কে ?


নোয়ার জাহিদ ফরিদপুর:ফরিদপুর সিএমবি ঘাট ১৬১ নং মৌজার ৩৩ শতক জমির মালিক নিঃসন্তান সালমা বেগমের কথিত ভাই কে এই একলাছ?ফরিদপুর সদর থানা ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের খাজনা ঘরের শেষ অংশটি যৌনপল্লী কলোনি। বিশাল এই এলাকাটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ৩ থেকে ৪০০ শত যৌনকর্মী ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।এখানকার ১৬১ নং ডিগ্রিরচর মৌজার এসে নং ৩৪৩ নং খতিয়ানের ৬১ শতক জমি তিন টাকা ৩ টাকা ৮৫ পয়সা পয়সা জমায়, পৈত্রিক সূত্রে (পাওয়া) মালিক বড়ু বিবি, ফরিদপুর সদর থানার ঠিকানা পাওয়া যায়। তিনিই পূর্বেই এই জমির মুল মালিক বলে দেখা যায়।

দ্বিতীয়তঃ ওই জমির ফঃসাঃরেঃঅঃ এর ৭১০ নং তাং ২১-০১-২০১৩, কবলা দলিল খরিদ সূত্রে মালিক হন আব্দুল মালেক ভূঁইয়া, তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানা এলাকায়। দলিলে তাই দেখা যায়।পরে ওই জমির কবলা মুলে মালিক দাবিদার,হন, কারন মালেক ভূঁইয়ার স্ত্রী সালমা বেগম কে স্বামী হেবা করে দেন। হেবা দলিল নং ৭১০ তাং ২১-০-২০১৩ দলিলে দেখা যায় ৩৩ শতক জমির মালিক মালেক ভুঁইয়া, এরপর ঐ জমির মালিক হন স্ত্রী সালমা বেগম।

তৃতীয়ত, জমির মালিক পরিবর্তন হওয়ার পর, মৃতঃ মালেক ভূঁইয়ার স্ত্রী সালমা বেগমের কাছ থেকে মোহাম্মদ মালেক শেখ ১৯৯৪ সালে ভাড়া নেন। ভাড়াটিয়া সূত্রে তিনি বিগত ১৩ সাল থেকে প্রায় ২০ বছর ভাড়াটিয়া দখলে আছেন।এ অবস্হায়, সালমা বেগম মারা যায়। তার মৃত্যুর কারন ছিল হার্টএ্যাটাক।ফরিদপুর পৌরসভার মৃত্যু রেজিস্টার ক্রমিক নং ১০১৮ রেজিঃ নং ০২-২০১৩-১৫, মৃত্যু তারিখ ৯-০৪-২০১৫ ইং ধর্ম ইসলাম, মৃত্যু কালীন বয়স হয়েছিল (৫০) বছর। তিনি ছিলেন (নিঃসন্তান) ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজউদ্দীন মাতুব্বরের ডাঙীর স্হায়ী বাসিন্দ।ফরিদপুর সাব রেজিস্টারি অফিসে তল্লাশি মুলে যে দলিলটি পাওয়া যায়, তাতে উল্লেখিত দাগ খতিয়ানে

২০১৬ সালের ০৬-০১-২০১৬ সালের ১৪৩ নং কবলা দলিল সূত্রে, দেখা যায়, দলিলের গ্রহীতা মোসাঘ ফেরদৌসি বেগম,স্বামী চুন্নু মোল্যা, বয়স ও জন্মতারিখ ০৫-০৫১৯৭৮ তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং২৬৯১৬৫১২০৫০৮০ গ্রামঃ ডিক্রীরচড় সিএন্ডবি ঘাট,তাইজউদ্দীন মাতুব্বরের ডাঙী,পোঃ বাকিগজ্ঞ,সদর থানা ফরিদপুর। বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ী নং ৫ এল টাইপ গ্রীনরোড ষ্টাফ কোয়ার্টার,ধানমন্ডি টাকা ১২০৫।

দলিলল দাতাঃ মোঃ একলাছ উদ্দীন, পিতাঃ মরহুম গফুর মন্ডল,মাতাঃমরহুমা, আছিয়া বেগম,জন্ম তারিখ ২১-০৬-১৯৮১ জাতীয় পরিচয়পত্র নং৯৩১৭৬১২০০৯ বর্তমান ঠিকানা,সাং উরিয়া গাছা,পোঃ তেরশ্রী -১৮৪০ থানা, দৌলতপুর, জেলা, মানিকগঞ্জ।এই ঠিকানায় একলাছকে খুজতে গেলে, ইউনিয়নের স্হানীয়রা গনমমাধ্যম কে জানান এই ঠিকানায় এই নামে কোন লোক এখানে কোনদিনই বসবাস করেনি।একই ব্যাক্তির দুইটি আইডি কার্ড পাওয়ায়,টাঙ্গাইলের ঠিকানায় সাংবাদিকদের একটি টিম সেখানে একলাছকে খু্জতে গেলে পাওয়া যায় তার আসল ঠিকানা।একলাছের জন্মস্হান, গ্রামঃ চাষাভাদ্রা,সড়ক ভাদ্রা, থানাঃ নাগপুর,জপলা টাঙ্গাইল।তিনি পৈত্রিক ও জন্মসুত্রে এখানকার বাসিন্দা।এই বিষয়, তথা একলাছের জন্মস্হান ঠিকানা গনমমাধ্যম কে নিশ্চিত করেন , ৭ নং চাষাভাদ্রা ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর এবং ইউপি সদস্য মোঃ বেলাল সরদার।

তারা গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, পরিষদের ডিও প্যাডে প্রত্যায়ন পত্র নং ৬০/১৭তাং ১০-৩-১৭ স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, একলাছের বাবা মরহুম,জামাল সেখ, গত ১২-০২-২০১৭ ইং তারিখ মারাযান,তিনি মৃত্যুকালে মা,আলীমা বেগম(৬৪) একলাছসহ ৭ জন ওয়ারিস রেখে যাতাদের জানামতে একলাছের সালমা নামে কোন বোন নাই। এবং নামে কোন বোন কখনই যৌনকর্মী/ পতিতা ছিল না।এই বিষয় কথা হয় ফেরদৌসির প্রতিনিধির সাথে তারা গনমমাধ্যম কে বলেন তারা সঠিক নয়মে দাতাঃ একলাছের কাছ থেকে কবলা মুলে দলিল করে নিয়েছেন।দলিলের সনাক্তকারী মোঃ বাবুল খানের সাথে বললে তিনি গনমমাধ্যম কে বলেন,ফেরদৌসি আমার পরশী তাই দলিলে আমি সনাক্ত করছি। কিন্ত দাতাঃ একলাছ কে আমি চিনি না।এই বিষয় কথা হয়,ফরিদপুর ডিক্রিচড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু ফকিরের সাথে তারা গনমমাধ্যম কে জানান,দাতার নাম ঠিকানায় গড় মিল পাওয়ায় আমরা এর কোন দরবার করিনি। আদালত ভাল বুঝবেন।দাতার নাম ঠিকানা গড় মিল করে এবং পুর্বের হেবা দলিলের নতুন করে কবলা দলিল হয় কিনা,এই বিষয়, ফরিদপুর এসিল্যান্ড ও বিজ্ঞ নির্বাহি বিচারকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সন্তষ্ট হয়ে গনমমাধ্যম কে বলেন,এটি একটি ৪২০ ধারার অপরাদ। তিনি চিটিংবাজি করছেন। তিনি আরো বলেন, কোন ব্যক্তি সম্পওি রেখে মারাযান এবং তার কোন ওয়ারিশই না থাকে তা হলে ঐ সম্পওির মালিক হবেন সরকার বাহাদুর।

Top