ছাত্ররাজনীতি প্রশ্নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে
এবি সিদ্দিক ভুঁইয়া : ছাত্ররাজনীতি প্রশ্নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।এতদিন এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অনেকটা নীরবে কার্যক্রম চালিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনোটি ‘সমন্বিত’কোনোটি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চালায়। কিন্তু ঘটা করে সম্মেলনের মাধ্যমে সম্প্রতি ছাত্রলীগ একযোগে ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।অনেকের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দেয়। ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষই ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) সোমবার করণীয় নির্ধারণে বৈঠকও করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন।তবে ছাত্র সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অনড়। ছাত্রলীগ বলছে, তারা সব বিশ্ববিদ্যালয়েই কমিটি দেবে। ছাত্রছাত্রীদের রাজনীতি-সচেতন করতে এবং জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতে সুষ্ঠুধারার রাজনীতির বিকল্প নেই। ছাত্রদলও প্রায় একই কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, রাজনীতির অধিকারের জন্য প্রয়োজনে সংগঠনটি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলেছে।এপিইউবি সভাপতি শেখ মো. কবির হোসেন মঙ্গলবার বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংঘাতের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীর প্রাণ যায়। নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাজীবন শেষ করা কঠিন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিদ্যমান রেখে পাঠদান করা হয়। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ-এমন কিছু উল্লেখ নেই। কিন্তু আমরা এটিকে সব সময় নিরুৎসাহিত করি। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি অব্যাহত থাকলে বিভিন্ন দলের কমিটি ঘোষণা হবে। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। এতে নিরীহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করবে। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোম ও বুধবার আলাদা স্থানে কথা বলেছেন। বুধবার রাজধানীর ব্যানবেইসে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না। কারণ, রাজনীতি করা মানুষের অধিকার। কিন্তু দলীয় রাজনীতি কীভাবে হবে, সেখানে রাজনীতি যারা করবেন, সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের বোঝাপড়া ও সৌহার্দ থাকা উচিত। তবে আমরা চাই, দলীয় রাজনীতির নামে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা না হয়। যদি ইতিবাচক রাজনীতি থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।সূত্রমতে, সোমবার এপিইউবির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছাত্ররাজনীতির ব্যাপারে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ নিয়ম ও বিধির আলোকে ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ দিয়েছে। এর মধ্যে আছে-ব্র্যাক, ইস্ট-ওয়েস্ট, আইইউবিএটি, এআইইউবি, আইইউবি ও নর্থ সাউথ। নর্থ সাউথের নোটিশে বলা হয়, এনএসইউ একটি অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান ও গবেষণা সংস্থা হিসাবে পরিচিত। ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপের অনুমতি নেই। তবে এনএসইউ-এর যে কোনো শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসের বাইরে নিজ রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নাম ও লোগো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি। এটি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশের ভাষাও অনুরূপ।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে ১০৯টি। এর মধ্যে ১০৩টির কার্যক্রম চলমান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অধীনে চলে। এই আইনে ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্ররাজনীতি করা যাবে কি না-এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা হয়নি।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, ২০১২ সালের অক্টোবরে ‘সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’ নামের একটি ইউনিট যাত্রা শুরু করে। কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত এ ইউনিটের মাধ্যমেই সংগঠনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখন দেশে ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোয়ও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন হয় না। ফলে প্রশাসন যেভাবে খুশি সেভাবেই প্রতিষ্ঠানগুলো চালায়। ছাত্রলীগ সেখানে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে। কমিটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, ছাত্ররাজনীতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নিষিদ্ধ নয়। এটি একজন শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকারও। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিষিদ্ধ করলেও আমাদের সব ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।ছাত্রদল সূত্র জানায়, ২০১১ সালে ৪৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্ররাজনীতি শুরু করে। তবে একদিকে বিরোধী রাজনীতির ছাত্র সংগঠন এবং অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিকূল পরিবেশ তৈরির ফলে তারা সেভাবে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। এই কমিটি ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করতে পেরেছে। এরপর ২০১৬ সালে ১০ সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি করে তারা। এই কমিটি ৬৪৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ জুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে পাঁচ সদস্যের সুপার-ফাইভ কমিটি করে ছাত্রদল। এখন তাদের সিদ্ধান্ত হলো-যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান চলমান, সেখানেই কমিটি গঠন করা হবে। আর দুই মাসের মধ্যেই এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চায় তারা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল’-এর সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো সংবিধান ও বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। আমরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে। কমিটি আগের মতো পরিচালিত হবে। আমরা যে কোনো সময় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করব। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করব।জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করার অবারিত সুযোগ থাকতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এর বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের বেশির ভাগই নিজেদের অর্থনৈতিক লাভজনক প্রতিষ্ঠান মনে করে। তারা স্বৈরাচার স্টাইলে বিশ্ববিদ্যালয় চালায়। নিজেদের ভোগ-বিলাসের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা অর্থ খরচ করে। এজন্যই তারা ছাত্ররাজনীতি চায় না। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি থাকলে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির মধ্যে থাকতে হয়। এটা এড়ানোর জন্য তারা ছাত্ররাজনীতিকে বিভিন্ন রং দিয়ে বন্ধ রাখতে চায়। যদি কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি খারাপ কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সেজন্য ক্যাম্পাসগুলো ছাত্ররাজনীতি কখনোই বন্ধ হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীর বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযোগ পাইনি। কারণ, তারা ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলে। কিন্তু ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ভাগাভাগি চায়। সে কারণেই ছাত্রলীগকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ্য করতে পারে না।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানবলেন, তিন কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির করার সুযোগ নেই। এগুলো হচ্ছে-২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৬(১০) ধারা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে পৃষ্ঠপোষকতা না করা এবং তাদের নিরাপত্তাবিধানের কথা বলা আছে। এই বিধান লঙ্ঘনের দায়ে ৪৯ নম্বর ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা, এমনকি ৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিলের কথা আছে। তিনি বলেন, এখানে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল কিংবা অন্য সংগঠনের বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে ছাত্ররাজনীতি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি ঢুকলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাবিধান সম্ভব হবে না। তিনি দ্বিতীয় কারণ উল্লেখ করে বলেন, ট্রাস্ট আইনে পরিচালিত যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ‘ইমপ্লাইড’ (উহ্য) হচ্ছে, সেখানে কেউ রাজনীতিতে জড়াতে পারে না। এসব প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক। এছাড়া মূল আইনের আলোকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ নিয়ম ও বিধান করেছে যে, সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকবে না। ছাত্রছাত্রীরা যেসব কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে ভর্তি হয়, সেখানেও এতে তারা সম্মতি জানিয়েছে।তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থানের সঙ্গে একমত নয় এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংস্থাটির সদস্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষা প্রসার ও এর মানোন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার বন্ধ করার জন্য নয়। তাছাড়া ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই যেভাবে অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে সেভাবেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চলবে-এটাই হচ্ছে মূলকথা। সুতরাং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন এমন নোটিশ দিল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনগুলোর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। তাই আমি মনে করি, যদি কোনো ছাত্র সংগঠন ভালো উদ্দেশ্যে সংগঠন করে, তাতে বাইরের কোনো প্রভাব ও হস্তক্ষেপ না থাকে, নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে পরিচালিত হয় এবং নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করে-তবে এ ক্ষেত্রে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।