বরিশালে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার পুলিশ কর্মকর্তা
এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া,বরিশাল: বরিশালে তালাকপ্রাপ্তা স্রীর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার পুলিশের এক কর্মকর্তা। ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নাম মোঃ ঈসা খান। তিনি বর্তমানে ভোলা জেলা পুলিশ লাইনে এ এসআই পদে কর্মরত আছে।জানা গেছে, বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের ইছাকাঠী গ্রামস্থ কাঁশিপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত দারোগা মৃত গোলাম মোস্তফা মৃধার ছোট মেয়ে মোসাঃ শাহনাজ আফরোজ (৩৪) এর সাথে ৪ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্যে কাবিন রেজিঃ মূলে ইসলামী শরীয়াহ মতে পারিবারিকভাবে ২০১৭ সালের ২১ শে অক্টোবর পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন নিবাসী ঐ পুলিশ কর্মকর্তা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে মনের অমিল,দাম্পত্যে অশান্তি, পারিবারিক কলহ এবং সাংসারিক বনিবনা না হলে সম্পূর্ণ নিরুপায় হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ শে নভেম্বর ঈসা খান তার স্ত্রী মোসাঃ শাহনাজ আফরোজকে রেজিঃ তালাক দেয়। পরবর্তীতে তালাকের নোটিশ রেজিঃ ডাকযোগে শাহনাজ ও তার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট পাঠিয়ে দেয়। পরক্ষণে তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে উহা গোপন করে শাহনাজ তার আত্মীয় স্বজনসহ পরিবারের সদস্যদের কুমন্ত্রণায় এবং মেজো বোন মাছুমা আক্তারের প্রত্যক্ষ মদদে তালাকের ১ মাস ৭ দিন পর শাহনাজ নিজে বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১ লা জানুয়ারি বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক একটি মিথ্যা নালিশী মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং- ৫/২০, নারী ও শিশু মামলা নং- ৯৯/২০ খ্রিঃ। তৎপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটি নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের জন্য মোঃ মেহেদী হাসান তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি), বরিশাল সদর, বর্তমানে ইউএনও কাঁশিয়ানী গোপালগঞ্জ’কে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন। সেইসাথে নালিশকারীর মানীত সাক্ষীসহ ঘটনাস্থলের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নিরপেক্ষ ব্যক্তিগণকে আইনসংগত প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অনুসন্ধান শেষে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন । তদকারনে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা গত ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারী তারিখ ধার্য করে বেলা ১১টায় বাদী ও বিবাদীপক্ষদ্বয়কে সাক্ষ্য প্রমাণাদিসহ তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য একখানা নোটিশ জারি করেন। সেমতে সকল সাক্ষ্য প্রমাণাদি নিয়ে পক্ষদ্বয় নির্ধারিত তারিখে উক্ত কার্যালয়ে হাজির হন। কিন্তু বিবাদীর দেয়া দালিলিক তথ্য উপাত্তকে পাত্তা না দিয়ে বরঞ্চ সুষ্ঠ অনুসন্ধানের শর্তে তিনি নালিশে বাদীর বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে জ্ঞাত নিরপেক্ষ ব্যক্তিগণকে কোন ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই ঘটনার সঠিকতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে না গিয়ে ঘটনার সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করে বরং বাদীর আপন মেজো বোন মোসাঃ মাছুমা আক্তার তৎসময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজিরপুর,বরিশালে একই ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে বাদীপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণপূর্বক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা একতরফাভাবে উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তার (এএসআই) বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন (অভিযোগপত্র) সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। শাহনাজের পারিবারিক ও স্থানীয় গোপন সূত্রে আরো জানা যায় যে,শাহনাজের সেই মেজো বোন মোসাঃ মাছুমা আক্তার বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (এডিসি) হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন বিধায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অহেতুক হয়রানির পিছনে ইন্ধন জোগানোর পাশাপাশি যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছেন। এমনকি দাম্ভিকভাবে তার দোহাই দিয়ে স্বামী মোঃ ইয়াহিয়া জামান এসব কু-কর্মে প্ররোচনা দিয়ে যাচ্ছে।
সেইসাথে বাদীর দ্বৈত তালাকপ্রাপ্তা বড় বোন মোসাঃ মাহফুজা আক্তার এবং একমাত্র ভাই মোঃ মিজানুর রহমান ও তার শ্বশুর অবঃ পুলিশ ইন্সপেক্টর সশস্ত্র মোঃ সেলিম মৃধা মিলে শাহনাজের দায়ের করা মিথ্যা নালিশী মামলায় উস্কানি দিচ্ছে। একইসাথে তাদের হীনস্বার্থ জিইয়ে রাখার নোংরা মানসে তুচ্ছ ফায়দা হাসিলে অহেতুক হয়রানির স্টিম রোলার চালিয়ে বেড়াচ্ছে। মিজানুর রহমান বর্তমানে বরিশালের রুপাতলী হাউজিং এলাকায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরী করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে এও জানা গেছে যে, শাহনাজের স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের গিয়াসউদ্দিন মৃধা বাড়ি। বর্তমানে শাহনাজ আফরোজ বরিশাল কাঁশিপুর এলাকার পিত্রালয়ে বসবাস করছেন।অপরদিকে ভুক্তভোগী সেই পুলিশ কর্মকর্তা সু-বিচার পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে প্রহর গুনছে।