প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ


নজরুল ইসলাম আলীম:গত ২১শে এপ্রিল বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রপত্রিকায় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জনাব মোঃ রেজাউল করিমকে নিয়ে ” বাকেরগঞ্জ পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের তহশীলদার রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবাদ লিপিতে জনাব মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এই নিউজের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ভৎসনা জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার শাকবুনিয়া মৌজার জে,এল নং-১৯,এস,এ খতিয়ান নং-১৩২,দাগ নং-৬৪/৬৮ এর মোট ৪০ শতাংশ ভূমি নিয়ে শাকবুনিয়া নিবাসী মৃত শামছুল হক মাওলানার পুত্র মোঃমাছুম মাওলানা ও মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকার কারণে আব্দুর রব হাওলাদার উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বিগত ইং ২৭/১২/২০২১ ইং তারিখে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মৃত শামসুল হক মাওলানার পুত্র মোঃ মাছুম মাওলানা ও মোঃ সছিদ্দিকুর রহমানকে বিবাদী করে এমপি-৩২৩/২০২১(বাকেরগঞ্জ) মোকদ্দমা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত ওসি বাকেরগঞ্জ থানাকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাকেরগঞ্জকে সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দিলে তিনি উক্ত বিজ্ঞ আদালতের আদেশের অনুবলে আমাকে সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দিলে আমি উক্ত নির্দেশ মোতাবেক বাদীর উক্ত তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে গিয়ে বাদী ও বিবাদীদের উপস্থিতিতে সরেজমিনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করি।

আমি তদন্ত করতে গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বিগত ইং ০৬/০৩/২০২২ তারিখের স্মারন নং-৩৩ পাদ্রী/২২ এ তদন্ত প্রতিবেদনের লেখি ” উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে মহোদয়ের নির্দেশে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩২৩/২০২১ নং এম,পি মামলার বাদী কর্তৃক অভিযোগের বিষয়ে আমি ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া সরেজমিনে তদন্ত করি।রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে,অত্র উপজেলাধীন জে,এল নং-১৯ শাকবুনিয়া মৌজায় এস,এ-১৩২ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক কালু হিং ১্ অংশের মালিক।৫৪ সহ ৯টি দাগের জমির পরিমাণ ২.৭৮ একর দেখা যায়। বাদীর বক্তব্যঃজে, এল নং-১৯ শাকবুনিয়া মৌজায় এস,এ-১৩২ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক কালু হাওলাদারের মৃত্যুতে ওয়ারীশ ২ ছেলে ২ মেয়ে এদের মধ্যে ১ ছেলে কাছেম হাওলাদারের মৃত্যুতে ওয়ারীশ সূত্রে বাদীসহ অন্যান্য ওয়ারীশগন .২৬৬৬ একর জমির মালিক হয়ে নামজারী ও জমাখারিজ করে নতুন ৩৮৫ নং খতিয়ান খুলে ভোগ দখলে আছে।বিবাদীর বক্তব্যঃজে,এল নং-১৯ শাকবুনিয়া মৌজায় এস,এ-১৩২ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক কালু হাওলাদারের ২ ছেলে ২ মেয়ে এদের মধ্যে এক ছেলে মাওলানা মোঃশামছুল হকের মৃত্যুতে ওয়ারীশ বিবাদীগন প্রাপ্ত হয় এবং বাদীর পিতা কাছেম হাওলাদারের থেকে ইং ০৬/০৬/১৯৯৯ তারিখে ২৮৭০ নং দলিলে ১৪ শতাংশ এবং অন্যান্য ওয়ারীশদের নিকট থেকে খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে সরজমিনে ভোগদখলে আছে।অত্র মোকদ্দমার বাদীর পিতা কাছেম হাওলাদার বিবাদীকে বিকৃত জমি দখল বুঝিয়ে দেয়। সে মর্মে বাদী-বিবাদীকে পাকা ঘর নির্মাণ করিয়া দেন। সার্বিক মন্তব্য কলামের লেখি বাদী ৬৪ নং দাগে বিবাদী ৬৮ নং দাগে সরজমিনে ভোগ দখলে আছে” মর্মে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করি। যাহা একটি কুচক্রী মহল নিজেরাই সাংবাদিক মহলদেরকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। আমি এতে সামাজিক, মানষিক ও আর্থিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি।দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আঞ্চলিক ও জাতীয় অনলাইন পত্রিকাগুলো বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি এবং মামলার বাদীকে আমার কার্যালয় ডেকে নিয়ে তাহার নিকট ৫ হাজার টাকা দাবীকৃত ঘুষের ১ হাজার টাকা গ্রহণের যে অভিযোগ করেছেন তাহার সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন ও অনভিপ্রেত ও বলে আমি মনে করি।

Top