চেয়ারম্যান ও ট্যাগ কর্মকর্তার নির্দেশে দশ টাকা দরের চাল ওজনে কম দিলেনফরিদ খান
নজরুল ইসলাম আলীম :বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ট্যাগ কর্মকর্তার নির্দেশে দশ টাকা দরের চাল ওজনে কম দিলেন ফরিদ খান।সরেজমিনে জানা যায় যে, গত বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়নের মহেশপুরের ডিলার মোঃ ফরিদ খান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রেশন কার্ড ভুক্তভোগীদের দশ টাকা দরের ৩০ কেজি চাল বিতরনের কথা থাকলেও ডিলার ফরিদ খানের জন্য ৬৯১ টি কার্ডে মোট মোট বরাদ্দকৃত চাল ২০,৭৩০ কেজি এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ডিলারদের প্রতি কেজি চালে১ টকা ৫০ পয়সা লাভ ধরে ট্যাগ অফিসার আখতারুজ্জামান এর উপস্থিতিতে উক্ত চাল বিতরণ এর কথা থাকলেও ডিলার ফরিদ খান তার অনুপস্থিতিতে উপকার ভোগীদের ২৮ কেজি ৫০০ গ্রাম চাল বিতরণ করে আসছেন।
যাহা ৬৯১ টি কার্ডে মোট কম দেয় ১০৩৬.৫০০ কেজি যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ন্যূনতম ৪১হাজার ৪০০শত ৬০টাকা।এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য লাভ দাঁড়ায় ১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৩১ হাজার ৯৫ টাকা অর্থাৎ ডিলার ফরীদ খান উক্ত ৪১হাজার ৪০০শত ৬০টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে চুরি করে বাহিরে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনাম নষ্ট করেছেন ফরিদ খান।তার এই ওজনের চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও ট্যাগ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান তাকে উপকারভোগীদের প্রতিটি কার্ডের ৩০ কেজিতে ২৮ কেজি ৫০০ গ্রাম করে দিতে বলেছেন। নাম প্রকাশ করার না শর্তে একাধিক উপকারভোগী অভিযোগ করে জানান এই চালচোর ফরীদ খানের অবিলম্বে ডিলারশিপ বাতিল পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।