এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাশের হার এবং জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাশের হার এবং জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। ৯টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসিতে মোট পাশের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) পরীক্ষায় ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং আলিম পরীক্ষায় ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ পাশের হার। সব মিলে পাশের হার ৯৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নেওয়া এইচএসসি ও সমমানের এ পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশ করা হয়।এ স্তরের পরীক্ষার ফলাফলে গত বছরের সঙ্গে এবারও অনেকটাই মিল আছে। কোনো বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে গত বছর কেবল শিক্ষার্থীদের গ্রেড বা ফল দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তাদের এসএসসি ও জেএসসির বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের নম্বরপ্রাপ্তির প্রবণতা (সাবজেক্ট ম্যাপিং) বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেবল বিভাগভিত্তিক তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে আংশিক সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাংলা ও ইংরেজি এবং আইসিটির মতো বিষয়ে গত বছরের মতোই সাবজেক্ট ম্যাপিং করে গ্রেড দেওয়া হয়। এরপর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়। মূলত আংশিক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় এবার শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো করেছে। ২০১৯ সালে এ স্তরে পাশের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছর শতভাগ শিক্ষার্থীই সাফল্যের মুখ দেখেছে। দুবছর আগের হিসাবে এবার পাশের হার বাড়ল প্রায় ২২ শতাংশ।
এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর শতভাগ পাশ সত্ত্বেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। এবার সেখানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন, যা ২০১৯ সালের তুলনায় চারগুণ। ওই বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬ জন।ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাশের হার ও জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে মোটা দাগে দুটি কারণ আছে। এগুলো হলো-কঠিন বিষয়ে পরীক্ষা না নেওয়া এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুসরণ করা। করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর সরাসরি ক্লাস হয়নি। এ কারণে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়। পাশাপাশি বিষয় সংখ্যাও কমানো হয়। বিজ্ঞান, মানবিক আর ব্যবসায় শিক্ষা-প্রতিটি বিভাগে তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হয়। ফলে ইংরেজি ও বাংলার মতো আবশ্যিক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাশ-ফেলের হারে বড় ভূমিকা রাখে ইংরেজি। এছাড়া আইসিটি বিষয়েও পরীক্ষা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এ কঠিন বিষয়গুলোয় পরীক্ষা না হওয়ায় পাশের হার যেমন বেড়েছে, তেমনই জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছে।এ প্রসঙ্গে রোববার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। উল্লিখিত বিষয়ে একমত হয়ে তিনিও বলেন, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কম ছিল। বিষয়গুলোয় তারা বেশি মনোযোগ দিতে পেরেছে। এসবই হয়তো পাশের হার বৃদ্ধি আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য, শতভাগ শিক্ষার্থীই যেন পরীক্ষায় সাফল্যের হাসি হাসতে পারে।এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, সাধারণত গণিত, ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে পাশের হার পাবলিক পরীক্ষায় ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এবার যারা পাশ করেছে, তারা একটি অস্বাভাবিক সময় পার করে এসেছে। এটি বিবেচনায় রেখে তাদের সিলেবাস ‘কাস্টমাইজড’ (প্রয়োজনের নিরিখে ছোট করা) করা হয়। তাই তারা কেমন ফলাফল করল বা কোন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে এলো, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং জরুরি হলো-এ পাশের হার ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের লেখাপড়ার মানের পার্থক্য কমিয়ে আনার বিষয়ে নজর দেওয়া। করোনা পরিস্থিতির পর যে পরীক্ষা হবে তার সঙ্গে ২০১৯ সালের বা এর আগের পরীক্ষার তুলনা করে বলা যাবে শিক্ষায় আমরা কতটা এগিয়েছি বা পিছিয়েছি।
ফলাফলে দেখা যায়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেও পৌনে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দুটি দিক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। একটি হলো-এমসিকিউতে অকৃতকার্যতা। প্রতিটি বিষয়ে সিকিউ (সৃজনশীল) এবং এমসিকিউতে (নৈর্ব্যক্তিক) অংশে আলাদাভাবে পাশের ব্যবস্থা। ফেল করা অধিকাংশ শিক্ষার্থী এমসিকিউয়ে ফেল করেছে। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী সিকিউ অংশে পাশ করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, বিভাগ বা বিষয়ভিত্তিক পাশের হার। বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে পাশের হার ৯৪ দশমিক ১৬ শতাংশ আর ব্যবসায় শিক্ষায় ৯৩ দশমিক ২১ শতাংশ। অন্যদিকে মানবিকে পাশের হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় সব সময় পাশের হার বেশি থাকে। কিন্তু পদার্থ, রসায়ন ও হিসাববিজ্ঞানে পাশের হার কম থাকে। আবার বাংলা ও ইংরেজিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হলেও পাশের হার সেখানে শতভাগ নয়।
সূত্র জানায়, বোর্ডগুলোর মধ্যে রসায়নে সর্বোচ্চ পাশের হার কুমিল্লা বোর্ডে প্রায় ৯৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম বরিশাল ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি। হিসাববিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি পাশের হার কুমিল্লায় সাড়ে ৯৬ শতাংশ, আর সবচেয়ে কম দিনাজপুরে ৯০ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিষয়ভিত্তিক পাশের হার বেড়ে গেলে সম্মিলিত পাশের হার আরও বেড়ে যেত। পৌনে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ফেল করার পেছনে আরেকটি কারণ উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি হলো-এবার নির্বাচনি পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। সাধারণত এতে অনুত্তীর্ণরা কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, নির্বাচনি পরীক্ষা হলে তারা ঝরে পড়ত। এমন অবস্থায় পাশের হার শুধু বৃদ্ধিই নয়, শতভাগও হয়ে যেত।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি উত্তীর্ণদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলাফলের বিভিন্ন দিক আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা এবং পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন-মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্রমশ উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে। ডাক ও রেল বিভাগকেও তিনি ধন্যবাদ জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ফলাফল অবহিত করা হয়। এছাড়া এসএমএস এবং অনলাইনে (www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে) ফলাফল জানা গেছে।এক যুগ ধরে এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে এবার ডিসেম্বরে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবার এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসির বিএমে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় বসে ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। আর ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন পাশ করেছে। এ ধারায় পাশের হার ৯৫ দশমিক ৫৭। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কারিগরি বোর্ডে এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এদিকে এইচএসসিতে বোর্ডভিত্তিক পাশের হারে এবার শীর্ষে আছে যশোর। সেখানে পাশের হার ৯৮.১১। সবচেয়ে খারাপ করেছে চট্টগ্রাম। বোর্ডটিতে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে কুমিল্লা ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
ফলাফল চ্যালেঞ্জ : শিক্ষা বোর্ডগুলো ফল চ্যালেঞ্জের আবেদন আজ থেকে নেওয়া শুরু করবে। যারা কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি, তারা আবেদন করতে পারবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে।এরপর RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের একাধিক পত্রের জন্য আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে ‘কমা’ দিয়ে বিষয় কোডগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। একই বিষয়ের দুই পত্রের মধ্যে একটি কিংবা দুটির জন্যই আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
তিন বিষয়ে ছয় পত্রে পরীক্ষা : করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার শুধু তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয়ে দুটি পত্র থাকে। ফলে বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা আলাদা ছয়টি করে পত্রে পরীক্ষা দেয়। ফল তৈরিতে দুটি পন্থা নেওয়া হয়েছিল। একটি হলো ঐচ্ছিক, তিনটি বিষয়ে আংশিক নম্বরে পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে এমসিকিউতে ৫০ শতাংশ আর সিকিউতে প্রশ্নসংখ্যা কমানো হয়। এমসিকিউতে প্রাপ্ত নম্বরকে দ্বিগুণ করা হয়। আর সিকিউতে প্রাপ্ত নম্বরকে আনুপাতিক হারে পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে নির্ণয় করা হয়। আরেকটি হলো-যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি সেগুলোয় এসএসসি ও জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করা হয়। এছাড়া সিকিউতে প্রশ্নের বিকল্প সংখ্যা বাড়ানো হয়। যেমন, বিজ্ঞানে আগে আটটির মধ্যে পাঁচটি আর মানবিকে ১১টির মধ্যে সাতটির উত্তর দিতে হতো। সেখানে যথাক্রমে দুই ও তিনটি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। প্রশ্নসংখ্যা কমানোর কারণে পরীক্ষার সময়ও কমানো হয়। আর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে তিন বিভাগের পরীক্ষা আলাদা সময়ে নেওয়া হয়।বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটিসহ অবশিষ্ট বিষয়গুলোর নম্বর এসএসসি/সমমান ও জেএসসি/জেডিসি থেকে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে জেএসসি/সমমানের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি/সমমানের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হয়। চতুর্থ বিষয়ের ক্ষেত্রে যে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এ বিষয়গুলো ছাড়া চতুর্থ বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এসএসসি/সমমান পরীক্ষার বিষয় ও জেএসসি/জেডিসি পর্যায়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় থেকে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর নির্ধারণ করা হয়। যেমন: চতুর্থ বিষয় উচ্চতর গণিতের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার উচ্চতর গণিত ও জেএসসি/জেডিসির বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বর এবং চতুর্থ বিষয় জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান ও জেএসসি/জেডিসি-এর বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।