মির্জাগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ
মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকেসামনে রেখে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝেপাল্টাপাল্টি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর একাধিক নির্বাচনীঅফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত দুইদনআগে নির্বাচনী প্রচারনা করার সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩জন সমার্থক এখনওমির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেমজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে উত্তেজনাকর ও ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকালরবিবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সহিদুল্লাহ(সানু মোল্লা) তাঁরনির্বাচর্নী ক্যাম্প ও তাঁর কর্মীদের জীবন নাশের হুমকি এবং দোকান ভাংচুর করেমালামালের ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ দিয়েছেন দ্বায়িত্বরত রিটানিং অফিসার মো.তানজিমুল ইসলামের কাছে। অভিযোগে বলেন,গত ২০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পরেআমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীমো.গোলামসরোয়ার(কিচলু) হাওলাদারের দুই ছেলের নেতেৃত্বে শতাধিক মটরসাইকলবহর নিয়ে আমার বাড়ির সামনে কুদবারচর হাবিব বাজার থেকে মিছিলেরপাশাপাশি দোকানে ও নির্বাচী ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ ছাড়াও ইউনিয়নেরগাজীর বাজার ও খলিশাখালী বাজারের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করে অফিস ঘরেরচেহার ভাংচুর করে এবং সাউন্ডবক্স সড়কের পাশে ফেলে দেয় নৌকার সমর্থকরা। এবিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. গোলাম সরোয়ার কিচলু এ ঘটনা অস্বীকারকরে বলেন, আমার বিরুদ্ধে তাঁরা নানা কথা রটাচ্ছে।
আমি এবারে এমন একটিনির্বাচন করতেছি তা আমি স্বপ্নেও ভাবেনি। আজকে একটি স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার পরিবার ও শান্তি কমিটির লোকের সাথে নির্বাচন করতেছি।তাকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নামধারী কিছুসংখ্যক লোকের ইন্দোনে তারা এটাকরতেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমার ইউনিয়নের হাবিব বাজার ও কুদবারচরেরপাগলা বাজারে একটি ফার্মেসি, দোকান ঘর,চায়ের দোকান, নির্বাচনী অফিসভাংচুর করেছে গত কয়েকদিন আগে। আমার কর্মী নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোরসময়ে ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। স্বতন্ত্রপ্রার্থী এলাকার বাইর থেকে লোকজন ভাড়া করে এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতের সৃষ্টিকরছে।এব্যাপারে উপজেলা দ্বায়িত্বরত রিটানিং অফিসার ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসভাংচুরের অভিযোগ দিয়েছেন নৌকা মার্কা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,নির্বাচনকে সামনেরেখে আইন শৃঃখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই ইউনিয়নে পুলিশের টহলজোরদার রয়েছে। টহল পুলিশ শনিবার বিকেলে হাবিব বাজার এলাকা থেকে দেশীয়অস্ত্রসহ(ছোরা) একজনকে আটক করে। তবে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুরের কোনঅভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আহনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।