বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা


এবি সিদ্দীক ভূঁইয়া :দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এ ধাপে প্রায় ২৫ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীরা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।নৌকা প্রতীকে দলীয় প্রার্থীর জয়ের হার ৫৬ শতাংশ। দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা একইসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সুবিধা পেয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের জয়ের হার ৯ শতাংশ।ব্যুরো ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো ৬৪৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪৮৬ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭৮ জন জয়ীসহ), স্বতন্ত্র ৩৩০, জাতীয় পার্টি ১০ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ৪টিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন।এছাড়া জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিস ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে ইউনিয়নে জয় পেয়েছে। এ ধাপে ভোট পড়ার হার ৭৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ব্যুরো ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে আরও দেখা গেছে, ৪৬ জেলার ৬৪৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৩৬১টিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।এ হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন প্রায় ৫৬ শতাংশ ইউপিতে। অপরদিকে এসব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৬০টিতে; যা প্রায় ২৫ শতাংশ।এ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে কোনো প্রার্থী দেয়নি। দলটির স্থানীয় নেতারা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫০টিতে ও জামায়াতের ৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুটি দল মিলিয়ে প্রায় ৯ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদে জয় পেয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে বিদ্রোহীদের আধিক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধরণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে বা তারা অংশ নিলে আওয়ামী লীগের এতসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকত না।যেহেতু বড় দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি, তাই আমাদের দলের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নির্বাচনের মাঠে থেকে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটি ছিল কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ত্রুটির বিষয় নয়।আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী ও বড় দল। এখানে একই ইউনিয়নে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকে। তারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে যারা শৃঙ্খলা ভেঙে নির্বাচন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দেশের ৬৩টি জেলার ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সাতজন নিহত হন। আহত হন তিন শতাধিক।ওইদিনই ভোটের পর স্থানীয়ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ভোট হওয়া ৮৩৪টির মধ্যে কয়েকটির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। সেসব ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল একীভূত করার পর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে।

আমাদের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : খুলনায় ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টিতে আওয়ামী লীগ, ১০টিতে একই দলের বিদ্রোহী ও ৫টিতে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।নড়াইলের ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ, ৪টিতে বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপি জয়ী হয়েছে। ঝিনাইদহের ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে ৬টিতেই সরকারি দলের বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন।

বাকি ছয়টিতে দলীয় প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। সাতক্ষীরার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতেই বিদ্রোহী ও তিনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এ জেলায় একটিতে বিএনপি ও দুটিতে জামায়াত নেতারা চেয়ারম্যান হয়েছেন।

রংপুরের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তিনটিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে বিএনপি, একটিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে জামায়াত জয়ী হয়েছে। যশোরের ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৩টিতে আওয়ামী লীগ, ৬টিতে একই দলের বিদ্রোহী ও তিনটিতে বিএনপির নেতারা জয়ী হয়েছেন।

মেহেরপুরে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে বিদ্রোহী জয়ী হয়েছেন। দলীয় প্রার্থীরা জিতেছেন মাত্র দুটিতে। চুয়াডাঙ্গার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের দুটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় ও দুটিতে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া মাগুরায় দুজন, কুষ্টিয়ায় ৭ জন, বগুড়ায় তিনজন, ফরিদপুরে ৫ জন, রাজশাহীতে ৬ জন, সুনামগঞ্জে ৬ জন, ঢাকা জেলায় ৭ জন, শরীয়তপুরে ৪ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের চার জেলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

একইভাবে কুমিল্লা ও আশপাশের ছয় জেলায় ১৩ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫ জেলায় তিনজন, নরসিংদীতে ছয়জন, পাবনায় দুজন, লালমনিরহাটে একজন, সিলেট অঞ্চলের তিন জেলায় ১০ জন ও গাইবান্ধায় তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

নাটোর : জেলার দুটি উপজেলার ১২ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭, বিদ্রোহী ৪ ও বিএনপি (স্বতন্ত্র) ১ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

নাটোর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচিতরা হলেন-ছাতনী ইউপিতে তোফাজ্জল হোসেন সরকার, তেবাড়িয়ায় ওমর আলী প্রধান, দিঘাপতিয়ায় কাজী শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, বড় হরিশপুরে ওসমান গণি ভুঁইয়া।

এ উপজেলায় নির্র্বাচিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-হালসায় শফিকুল ইসলাম শফিক, লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ায় নূরুজ্জামান কালু। কাফুরিয়ায় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচিতরা হলেন-বড়াইগ্রামে মমিন আলী, চান্দাইয়ে শাহনাজ পারভীন ও গোপালপুরে আবু বকর সিদ্দিক। এ উপজেলায় নির্বাচিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-জোনাইলে আবুল কালাম আজাদ ও নগর ইউপিতে মস্তোফা সামসুজ্জোহা।

পাবনা : পাবনার সুজানগর উপজেলায় ১০ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৮ ও বিদ্রোহী ২ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন-ভায়নায় আমিন উদ্দিন (আ.লীগ), দুলাইয়ে সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান (আ.লীগ), তাঁতিবন্দে আব্দুল মতিন মৃধা (আ.লীগ), সাগরকান্দিতে শাহিন চৌধুরী (আ.লীগ), মানিকহাটে শফিউল ইসলাম শফি (আ.লীগ), রানীনগরে বিএম তৌফিকুল আলম পিজুষ (আ.লীগ), নাজিরগঞ্জে মশিউর রহমান খান (আ.লীগ), সাতবাড়িয়ায় আবুল হোসেন (বিদ্রোহী), হাটখালীতে ফিরোজ আহম্মেদ (বিদ্রোহী), আহম্মদপুরে কামাল হোসেন (আ.লীগ)।

দিনাজপুর : জেলার হাকিমপুর ও বোচাগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৬ ও বিএনপির ২ ও স্বতন্ত্র ১ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। হাকিমপুরে খট্রামাধাবপাড়ায় কাউছার রহমান (স্বতন্ত্র), বোয়ালদাড়ে সদরুল ইসলাম (আ.লীগ) ও আলীহাটে আবু সুফিয়ান (আ.লীগ) বিজয়ী হয়েছেন। বোচাগঞ্জ উপজেলায় নাফানগরে শাহনেওয়াজ পারভেজ (বিএনপি), ঈশানিয়ায় উৎপল রায় বুলু (আ.লীগ), মুর্শিদহাটে ওয়াক্কাস কাঞ্চন (বিএনপি), আটগাঁও-এ নুরুন্নবী চৌধুরী (আ.লীগ), ছাতইলে হাবিবুর রহমান হাবু (আ.লীগ) ও রনগাঁও-এ নিমাই চন্দ্র দেবশর্মা (আ.লীগ) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

শরীয়তপুর : সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৩ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আংগারিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, রুদ্রকরে সিরাজুল ইসলাম ঢালী (আ.লীগ), তুলাসারে জামাল ফকির (আ.লীগ), ডোমসারে মজিবুর রহমান খান (স্বতন্ত্র), শৌলপাড়ায় মোহাম্মদ ভাষান (বিদ্রোহী), পালং-এ কেএম আজারুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও মাহমুদপুরে শাজাহান ঢালী (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনা : জেলার ২৫ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০, বিদ্রোহী ১০ ও বিএনপির ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। রূপসা উপজেলার আইচগাতীতে আশরাফুজ্জামান বাবুল (আ.লীগ), শ্রীফলতলায় ইসহাক সরদার (আ.লীগ) ও টিএস বাহিরদিয়ায় জাহাঙ্গীর শেখ (আ.লীগ), বিজয়ী হয়েছেন। ফুলতলা উপজেলার সদর ইউপিতে শেখ আবুল বাশার (বিএনপি), জামিরায় সরদার মনিরুল ইসলাম (বিদ্রোহী), দামোদরে শরীফ মো. ভূঁইয়া শিপলু (আ.লীগ), আটরা গিলাতলায় শেখ মনিরুল ইসলাম (আ.লীগ), নির্বাচিত হয়েছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে মনোজিত বালা (বিদ্রোহী), মাগুরখালীতে বিমল কৃষ্ণ সানা (আ.লীগ), খর্ণিয়ায় শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার (বিএনপি), ধামালিয়ায় জহুরুল হক (বিএনপি), আটলিয়ায় শেখ হেলাল উদ্দিন (বিএনপি), ভান্ডারপাড়ায় গোপাল চন্দ্র দে (বিদ্রোহী), রুদাঘরায় বিদ্রোহী তৌহিদুজ্জামান, রংপুরে বিদ্রোহী সমরেশ মন্ডল, ডুমুরিয়া সদরে বিদ্রোহী গাজী মো. হুমায়ুন কবীর বুলু, শোভনায় বিদ্রোহী সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, শরাফপুরে বিদ্রোহী শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মাগুরঘোনায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম হেলাল, গুটুদিয়ায় বিদ্রোহী শেখ তুহিনুল ইসলাম ও সাহস ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। বটিয়াঘাটা সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের পল্লব কুমার বিশ্বাস, ভান্ডারকোট ইউপিতে বিদ্রোহী ওবায়দুল্লাহ শেখ ও সুরখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের এসকে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ : বাজিতপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন-হুমাইপুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম ধনু, দিলালপুর ইউনিয়নে গোলাম কিবরিয়া নোভেল, বলিয়ার্দী ইউনিয়নে আবুল কাসেম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), সরারচর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান স্বপন, হালিমপুর ইউনিয়নে উমর ফারুক রাসেল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), হিলচিয়া ইউনিয়নে মাযহারুল হক নাহিদ, দিঘীরপাড় ইউনিয়নে আব্দুল কাইয়ুম, পিরিজপুর ইউনিয়নে জাফর ইকবাল জুয়েল, মাইজচর ইউনিয়নে তাবারক মিয়াজি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), গাজিরচর ইউনিয়নে মো. জুয়েল মিয়া ও কৈলাগ ইউনিয়নে কায়সার এ হাবিব।

করিমগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন-জাফরাবাদ ইউনিয়নে আবু সাদাৎ মো. সায়েম (আওয়ামী লীগ), গুজাদিয়া ইউনিয়নে সৈয়দ মাসুদ (আওয়ামী লীগ), কিরাটন ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে আরিফ উদ্দিন আহম্মেদ কনক (স্বতন্ত্র-বিএনপি সমর্থক), দেহুন্দা ইউনিয়নে এমএ হানিফ (স্বতন্ত্র-আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), বারঘরিয়া ইউনিয়নে কামরুল আহসান কাঞ্চন (আওয়াম লীগ), গুণধর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু ছায়েম রাসেল (আওয়ামী লীগ), জয়কা ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির (স্বতন্ত্র-বিএনপি সমর্থক), নোয়াবাদ ইউনিয়নে মোস্তফা কামাল (স্বতন্ত্র-বিএনপি সমর্থক), সুতারপাড়া ইউনিয়নে একটি কেন্দ্র স্থগিত অবস্থায় এগিয়ে রয়েছেন কামাল হোসেন (আওয়ামী লীগ) ও নিয়ামতপুর ইউনিয়নে আব্দুল হেলিম (আওয়ামী লীগ)।

তাড়াইল উপজেলায় নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন তালজাঙ্গা ইউনিয়নে আবু জাহেদ ভূঞা (স্বতন্ত্র-আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), রাউতি ইউনিয়নে ইকবাল হোসেন তারিক (আওয়ামী লীগ), ধলা ইউনিয়নে আফরোজ আলম ঝিনুক (আওয়ামী লীগ), জাওয়ার ইউনিয়নে ইমদাদুল হক রতন (জাতীয় পার্টি), দামিহা ইউনিয়নে একে মাইনুজ্জামান নবাব (আওয়ামী লীগ), দিঘদাইড় ইউনিয়নে আশরাফ উদ্দিন ভূঞা (জাতীয় পার্টি) ও তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নে সাঈম দাদ খান নওশাদ (জাতীয় পার্টি)।

নরসিংদী : নরসিংদী সদর উপজেলার চরদীঘলদীতে দেলোয়ার হোসেন শাহীন (আওয়ামী লীগ), আলোকবালী ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু (আওয়ামী লীগ ) এবং রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী রাতুল হাসান জাকির (স্বতন্ত্র), শ্রীনগরে রিয়াজ মোরশেদ খান রাসেল (আওয়ামী লীগ), পাড়াতলীতে ফেরদৌস কামাল জুয়েল (আওয়ামী লীগ), চরমধুয়ায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আহসান শিকদার (স্বতন্ত্র), মির্জানগরে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী বশির উদ্দিন সরকার রিপন (স্বতন্ত্র), আমিরগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ফজলুল করিম ফারুক (স্বতন্ত্র), হাইরমারায় কবির হোসেন (আওয়ামী লীগ), মির্জারচরে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী জাফর ইকবাল মানিক (স্বতন্ত্র), নিলক্ষ্যায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আক্তারুজ্জামান (স্বতন্ত্র), চরসুবুদ্ধিতে নাসির উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনা সদরের চেয়ারম্যান পদে চল্লিশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুল মজীদ (নৌকা), দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে মো. সেলিম আজাদ সেলিম (স্বতন্ত্র বিএনপি), মেদনী ইউনিয়নে প্রার্থী আলহাজ মিজানুর রহমান খান (স্বতন্ত্র), কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন খান (নৌকা), আমতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ সবুজ (নৌকা), সিংহের বাংলা ইউনিয়নে মো. আলী আহসান সুমন (স্বতন্ত্র), ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), কাইলাটী ইউনিয়নে নাজমুল হক (স্বতন্ত্র, বিএনপি), মৌগাতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান আবুনী (নৌকা), রৌহা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রশিদ (নৌকা)।

বারহাট্টার রায়পুরে আতিকুর রহমান রাজু (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী), বাউসী শামসুল হক (নৌকা), বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে কাজী সাখাওয়াত হোসেন খান (নৌকা), চিরাম সাইদুর রহমান (নৌকা), সাহতা মিজানুর রহমান চঞ্চল (স্বতন্ত্র বিদ্রোহী), আসমা শফিকুল ইসলাম খান ছন্দু (নৌকা), সিংধা নাসিম তালুকদার (স্বতন্ত্র)।

আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউপিতে মো. আব্দুস সাত্তার (নৌকা), লুনেশ্বরে মো. শাহজাহান কবীর (নৌকা), বানিয়াজানে মো. ফেরদৌস মিয়া (নৌকা), তেলিগাতীতে অখিল চন্দ্র দাস (নৌকা), দুওজ ইউপিতে সাইদুল হক তালুকদার (নৌকা), সুখারীতে মো. শাহজাহান (নৌকা) ও শুনই ইউপিতে মো. রোকন উজ্জামান (নৌকা)।

রাঙামাটি : কাপ্তাই উপজেলার সদর ইউনিয়নে আব্দুল লতিফ (আ’লীগ), রাইখালী ইউনিয়নে মংথুই মারমা (স্বতন্ত্র) ও ওয়াগ্গা ইউনিয়নে চিরঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা (আ’লীগ), বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নে তরুণ জ্যোতি চাকমা (স্বতন্ত্র), বরকল সদর ইউনিয়নে প্রভাত চাকমা (আ’লীগ), আইমাছড়া ইউনিয়নে সুবিমল চাকমা (স্বতন্ত্র) ও বড়হরিণা ইউনিয়নে নীলাময় চাকমা (স্বতন্ত্র) এবং বিলাইছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে সুনীল কান্তি দেওয়ান (স্বতন্ত্র), কেংরাছড়ি ইউনিয়নে রামা চরণ মারমা ওরফে রাসেল (আ’লীগ) ও ফারুয়া ইউনিয়নে বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা (আ’লীগ)।

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) : মহেশপুর ইউনিয়নে সরকারদলীয় প্রার্থী লুৎফর রহমান মিয়া (নৌকা), পারুলিয়া ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম শাওন বিদ্রোহী প্রার্থী (মোটরসাইকেল), মাহমুদপুর ইউনিয়নে এনামুল হক মিরাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা), সাজাইল ইউনিয়নে মো. মাহাবুবুল আলম বিদ্রোহী প্রার্থী মোটরসাইকেল), কাশিয়ানী ইউনিয়নে মোহাম্মাদ আলী খোকন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস), রাজপাট ইউনিয়নে মিল্টন মিয়া (নৌকা), রাতইল ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থী বিএম হারুন অর রশিদ পিনুর (নৌকা) চেয়ে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুরুল ইসলাম (আনারস)। এছাড়া বাকি ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা-ফুকরা ইউনিয়নে শাহ ইশতিয়াক পটু (অটোরিকশা), ওড়াকান্দিতে বদরুল আলম বিটুল (মোটরসাইকেল), হাতিয়াড়ায় দেবদুলাল বিশ্বাস (চশমা) সিংগায় রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস মোটরসাইকেল), বেথুড়ীতে ইমরুল হাসান মিয়া (চশমা), পুইশুরে কামরুল ইসলাম (টেলিফোন) ও নিজামকান্দিতে কাজী নওশের আলী (টেলিফোন)।

বড়াইগ্রাম : সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমিন আলী (নৌকা) ১২ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। জোনাইল ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (ঘোড়া), নগর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তফা শামসুজ্জোহা (ঘোড়া), চান্দাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহনাজ পারভীন, গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক বিজয়ী হয়েছেন।

ধামরাই : চৌহাট ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভীন হাসান প্রীতি (ঘোড়া), আমতা ইউনিয়নে মো. আরিফ হোসেন (নৌকা), বালিয়া ইউনিয়নে মো. মজিবর রহমান (নৌকা), যাদবটপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজ (আনারস), বাইশাকান্দা ইউনিয়নে অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), কুশুরা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান (নৌকা), গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নে মো. আব্দুল কাদের মোল্লা (নৌকা), সানোড়া ইউনিয়নে মো. খালেদ মাসুদ খান লাল্টু (নৌকা), সোমভাগ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভাষক মো. আওলাদ হোসেন (আনারস), ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী মো. মোসলেহ উদ্দিন মাসুম (চশমা), ধামরাই সদর ইউনিয়নে বিদ্রোহী আপন চাচা ও ঢুফাকে হারিয়ে বিজয়ী মো. মশিউর রহমান (চশমা), কুল্লা ইউনিয়নে বিদ্রোহী মো. লুৎফর রহমান (আনারস), সুয়াপুর ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কফিল উদ্দিন (নৌকা) ও রোয়াইল ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কাজিম উদ্দিন খান (নৌকা)।

সুনামগঞ্জ : ছাতক উপজেলায় খুরমা উত্তর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ (আ.লীগ), কালারুকা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান অদুদ আলম (আ.লীগ), ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নে গয়াছ আহমদ (আ.লীগ), গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলী, সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (আ.লীগ বিদ্রোহী), জাউয়াবাজার ইউনিয়নে আব্দুল হক (আ.লীগ বিদ্রোহী), দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে আবু বকর (আ.লীগ বিদ্রোহী), চরমহল্লা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত (বিএনপি), দোলারবাজার ইউনিয়নে নূরুল আলম (বিএনপি), ইসলামপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. সুফী আলম সুহেল (জামায়াত) জয় পেয়েছেন।

দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নে আব্দুল হামিদ (আ.লীগ), বোগলাবাজার ইউনিয়নে মিলন খান (আ.লীগ), সুরমা ইউনিয়ন পরিষদে এমএ হালিম (আ.লীগ), পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে আব্দুল ওয়াহিদ (আ.লীগ), নরসিংহপুর ইউনিয়নে নূরউদ্দিন আহমদ (আ.লীগ), লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ জহিরুল ইসলাম (আ.লীগ বিদ্রোহী), বাংলাবাজার ইউনিয়নে এম আবুল হোসেন (আ.লীগের বিদ্রোহী), দোহালিয়া ইউনিয়নে শামীমুল ইসলাম (আ.লীগের বিদ্রোহী) ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নে ইজ্জত আলী (বিএনপি) জয় পেয়েছেন।

পীরগঞ্জ : বিজয়ীরা হলেন, চৈত্রকোল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আরিফুজ্জামান শাহ, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম, বড়দরগায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের মাফিয়া আক্তার শিলা, কুমেদপুরে নৌকার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম, মদনখালীতে বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের নুর মোহাম্মদ মন্জু, টুকুরিয়ায় নৌকার প্রার্থী আতাউর রহমান, শানেরহাটে নৌকার প্রার্থী মেজবাহুর রহমান, পাঁচগাছি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাবলু মিয়া, চতরায় নৌকার প্রার্থী এনামুল হক শাহীন, কাবিলপুরে নৌকার প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি।

রংপুর : পীরগাছা উপজেলার ৮ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩, বিএনপি ৩, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি একটি করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার আওয়ামী লীগ নির্বাচিত প্রার্তীরা হলেন-তোফাজ্জল হোসেন (পরুল ইউনিয়ন), আমিনুল ইসলাম (অন্নদা নগর) ও আবুল বাশার (ইটাকুমারী), বিএনপির নির্বাচিতরা হলেন-মোস্তাফিজার রহমান (পীরগাছা সদর), নজির হোসেন (ছাওলা) ও জুয়েল হোসেন (কান্দি), তাম্বুলপুরে জামায়াতের বজলুর রশিদ ও কৈকুড়িতে জাতীয় পার্টির নুর আলম নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়া : শিবগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৫, বিদ্রোহী ৩ ও স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হলেন-বুড়িগঞ্জে রেজাউল করিম চঞ্চল (আ.লীগ), বিহারে মহিদুল ইসলাম (আ.লীগ), শিবগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শহীদ (আ.লীগ), কিচকে এবিএম নাজমুল কাদির চৌধুরী (আ.লীগ) ও দেউলীতে জাহেদুল ইসলাম (আ.লীগ), আটমূলে বিদ্রোহী প্রার্থী বেলাল হোসেন, ময়দানহাট্টায় বিদ্রোহী আবু জাফর মন্ডল ও পীরবে বিদ্রোহী প্রার্থী আসিফ মাহমুদ মিল্টন ও নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থীরা হলেন-মাঝিহট্টতে এসকেন্দার আলী সাহানা, রায়নগরে শফিকুল ইসলাম শফি ও সৈয়দপুরে আবদুল মোত্তালিব। রেপুর উপজেলার নয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের চার ও স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থী। কুসুম্বীতে শাহ আলম পান্না (স্বতন্ত্র), খামারকান্দিতে আব্দুল মোমিন মহসিন (আ.লীগ), সুঘাটে মনিরুজ্জামান জিন্নাহ (আ.লীগ), সীমাবাড়ীতে গৌরদাস রায় চৌধুরী (আ.লীগ) ও ভবানীপুর ইউনিয়নে আ.লীগের দলীয় সমর্থিত প্রার্থী এসএম আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), বিশালপুরে আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন, মির্জাপুর ইউনিয়নে জাহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), খানপুর ইউনিয়নে পিয়ার হোসেন পিয়ার (স্বতন্ত্র) ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নে কাজী আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।

ফরিদপুর : নগরকান্দা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন-ফুলসুতি ইউনিয়নে আরিফ হোসেন, কাইচাইল ইউনিয়নে মো. মোস্তফা, ডাঙ্গী ইউনিয়নে কাজী আবুল কালাম, চরযশোরদী ইউনিয়নে কামরুজ্জামান সাহেব ফকির ও কোদালিয়া শহীদ নগর ইউনিয়নে জাকির হোসেন নিলু। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন-তালমা ইউনিয়নে মো. কামাল হোসেন, রামনগর ইউনিয়নে কাইমুদ্দিন মন্ডল ও পুড়াপাড়া ইউনিয়নে আতাউর রহমান বাবু ফকির। এছাড়া বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার লস্করদিয়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন-আটঘর ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম সোহাগ, ভাওয়াল ইউনিয়নে ফারুক উজ জামান ফকির মিয়া, গট্রি ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান লাবলু, মাঝারদিয়া ইউনিয়নে আফসার উদ্দিন মাতুব্বর, সোনাপুর ইউনিয়নে খায়রুজ্জামান বাবু, বল্লভদী ইউনিয়নে খন্দকার সাইফুর রহমান শাইন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন-যদুনন্দি ইউনিয়নে মো. রফিক মোল্যা ও রামকান্তপুর ইউনিয়নে ইসারত হোসেন।

Top