জাল জালিয়াতি সার্টিফিকেট দিয়ে সেই ড্রাইভার পদে নিয়োগে লাভ করা ব্যক্তিকে বিআরটিসি হেড অফিসে তলব - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাল জালিয়াতি সার্টিফিকেট দিয়ে সেই ড্রাইভার পদে নিয়োগে লাভ করা ব্যক্তিকে বিআরটিসি হেড অফিসে তলব


এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া : এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া: জাল জালিয়াতি সার্টিফিকেট দিয়ে সেই ড্রাইভার পদে নিয়োগে লাভ করা ব্যক্তিকে বিআরটিসি হেড অফিসে তলব করে স্ব-শরীরে সকল প্রমান সহ হাজির হতে বলা হয়েছে।একটিসুত্রে জানাযায়,আজ বিআরটিসি হেড অফিসে মোঃ সাইফুল সিকদার ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে তৈরি কারা বয়স সংশোধনি নিয়ে হাজির হবে।এদিকে জানাযায়,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের অধীনে বরিশাল ডিপোর ড্রাইভার নিয়োগ (১০-০১-২০১৯ ইং) তারিখে চাকুরীতে যোগদানের সময় জন্ম সনদ দাখিল করেন।সেই জন্ম সনদ বর্হি নিবন্ধন নং- ১১, নিবন্ধনের তারিখ উল্লেখ করে (০৫-০৬-২০১৫ইং) ।( জন্ম সাল ১০-০৬-১৯৮৮ইং উল্লেখ রয়েছে )।অথচ মোঃ সাইফুল সিকদারের ভোটার স্লিপ নং- ০৩৬৫,ভোটার নং- ৪২০৫৯৯৩৭৭৯৩৩, পিতাঃ আবদুল রব শিকদার,মাতাঃ মমতাজ বেগম,তাহার জন্ম তারিখ- ১০-১০-১৯৭৫ ইং উল্লেখ রয়েছে।মোঃ সাইফুল সিকদারের ছোট ভাই মাসুম সিকদারের ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ ০১-০১-১৯৮৩ইং।তার বড় ছেলে সিফাত সিকদারের (২৭) তিন বছরের একটি মেয়ে সেফা আক্তার জয়া। মেয়ে তিনাক সিকদার (২১) বিবাহিত, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে তাহমিন সিকদার (৪)। অথচ দপদপিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর সনদ পত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বের করে। পাশের সন দেখায় ২০০০ইং। তাহারি সূত্র ধরে জন্ম নিবন্ধনে বয়স দেখায় ১০-০৬-১৯৮৮ইং। তাহলে কি মাসুম সিকদার এর ছোট ভাই সাইফুল সিকদার,বাস্তবে বড় ভাই সাইফুল সিকদার।সুত্রে জানাযায়, ২৩-০৯-২০১২ সালে সাইফুল সিকদারের ছোট ভাই মাসুম সিকদারকে বিআরটিসির অপারেটর গ্রেট-সি(চালক)পদে নিয়োগে লাভ করে।পরে বড় ভাই সাইফুল সিকদার জাল জালিয়াতি সার্টিফিকেট ও ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে ১০-০১-২০১৯ সালে বিআরটিসির অপারেটর গ্রেট-সি(চালক)পদে নিয়োগে লাভ করে।অথচ নিয়োগ আদেশ কপিতে ২নং শর্ত ভঙ্গ করে জাল জালিয়াতি সার্টিফিকেট ও ভুয়া জন্ম সনদ দাখিল করে স্ব-পদে রয়ে গেছেন।

সাইফুল সিকদারের ছেলে সিফাত সিকদারের (২৭) জানান আমার জন্ম ১৯৯৪ সালে আমি আমার বাবার বড় ছেলে।ছোট বোন তিনাক সিকদার (২১) বিবাহিত।আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে তাহমিন সিকদার (৪)।বাবার জন্ম ১৯৭৫ সালে।এখন জন্ম সনদ যেটা তৈরি করেছে এটা চাকুরি করার জন্য ।

ড্রাইভার সাইফুল সিকদারের জানায়,১৯৭৫ সালে আমার জন্ম আমি দপদপিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর সনদ পত্র দপ্তরীর মাধ্যমে সংগ্রহ করি।পরে আমি দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সার্টিফিকেট দেখিয়ে জন্ম সনদ তৈরি করি।আমাকে ঢাকা হেড অফিসে ডাক ছিল আমি কথা বলেছি তারা বলেছে পুলিশ ভেরিফিকেশন করে কাগজ নিয়ে গেলে সব ঠিক করে দিবে।পরে সাংবাদিক ম্যানজে করার চেষ্টা করে।

বিআরটিসি এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ কারার শর্তে বলেন সরকারি চাকুরিতে জাতীয় পরিচয় পত্র না দিয়ে। জন্ম সনদ দিয়ে চাকুরি নেয় কিভাবে।যদি জাল জালিয়াতি সার্টিফিকেট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রমান পত্র সহ অভিযোগ থাকে তাহলে প্রথম তাকে বরখাস্ত করা হবে।এর পর তদন্তের কাজ শুরু হবে।আর পুলিশ ভেরিফিকেশন হল পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক আপনার সকল তথ্য নিশ্চিত হওয়া ও আপনার সামাজিক অবস্থান এবং পূর্বের ইতিহাস যাচাই বাচাই করা।পুলিশ ভেরিফিকেশন এট যদি সটিক বাবে করা হয় তাহলে তার চাকুরি থাকবে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন এর(অতিরিক্ত সচিব) চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তার কাছে সকল কাগজের মূলকপি সহ হাজির হতে বলা হয়েছে।যদি কোন অনিয়োম পাওয়া যায় তাহার বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Top