মির্জাগঞ্জে নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশায় জোর করে রেজুলিউশনে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ
মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজীমিজানুর রহমান লাভলু ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পাবার আশায় ওয়ার্ডআওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদকদেরকে দাওয়াত খেতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েরেজুলিউশন খাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি-সম্পাদককের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাধবখালী ইউনিয়নআওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আবদুল মালেক ও সাধারনসম্পাদক আবদুল হালিম মোল্লা। অভিযোগে জানা যায়, আসন্ন ইউপিনির্বাচনে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান পদেনৌকা প্রতীক প্রত্যাশী কাজী মিজানুর রহমান লাভলু। তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বররাতে পার্শ¦বর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নেরনিউমার্কেট এলাকায় সভাপতি’র জামাতা মোঃ কামরুল হাসান সজীবের বাসায়
মাধবখালী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের নিয়ে নৈশ্যেভোজের আয়েজন করেন। এর মধ্যে ৯টি ওয়ার্ড কমিটির মধ্যে ৮জন সভাপতি ও ৭জনসাধারন সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। জামাতার বাসায় নিয়ে তাদেরকে ভয়ভীতিদেখিয়ে ইউনিয়ন ১নং মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজীমিজানুর রহমান লাভলু রেজুলিউশন বহিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন বলেঅভিযোগ করেন তারা।
এদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নিয়েকাউন্সিলের মাধ্যমে গোপন ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করাহবে। তাই কাউন্সিলে জয়ী হতে পারবে না ভয়ে ইউনিয়ন সভাপতি গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করেছেন। এ ইউনিয়নে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কিমিটির কাউন্সিলেরমাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনের দাবী করেন তারা। ইউনিয়ন সভাপতি’র জামাতাএকজন উচ্ছৃংখল প্রকৃতির লোক। সম্প্রতি ছৈতা বাজারে এসে ইউপিনির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মালেকের দুই সমার্থককেপিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু এঅভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী,ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি- সম্পাদকদের নিয়ে বসতেই পারি। তারাও চাইলে সকলকেনিয়ে বসতে পারে, তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। আমি তাদেরকে দাওয়াতদেইনি, তারা ১৮জন সভাপতি-সম্পাদক একত্রিত হয়ে বসে আমাকে ফোন করার পরেআমি তাদের সাথে মিলিত হয়ে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। এটাগঠনতন্ত্র বিরোধী কোন কার্যক্রম নয়। আমার বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছে।উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গাজী আত্ধসঢ়;হার উদ্দীন আহম্মদ বলেন, এ ঘটনায়অভিযোগ পেয়েছি। বুঝে শুনে তারপরে আমি পদক্ষেপ নিবো।