আমি দোষী হলে প্রয়োজনে দলের পদ ছেড়ে দেব: মেয়র সাদিক - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি দোষী হলে প্রয়োজনে দলের পদ ছেড়ে দেব: মেয়র সাদিক


খোকন হাওলাদার, বরিশাল:বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, আমি পরিচিত মানুষ। আমার চেহারা সারা বাংলাদেশের মানুষ চেনেন। আমি তো আর পালিয়ে যাব না। আমাকে বললে আমি নিজেই থানায় হাজির হয়ে যাব।

সেই সঙ্গে তিনি সেই রাতের আংশিক নয়, পুরো ভিডিও প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, আমার কারণে আওয়ামী লীগের এত বড় ক্ষতি আমি কখনোই চাইব না। সেই জায়গা থেকে প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দিতেও আমার কোনো অসুবিধা নেই।শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।মেয়র সাদিক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন।তিনি আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি, বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি, পুরো ভিডিও ফুটেজটা আমরা দেখতে চাচ্ছি। আমাদের চাহিদা বেশি না, পুরো ভিডিওটা আমরা দেখতে চাই। সবাই বলছে, সেটা দেখে আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি বা আমার দলের নেতাকর্মীরা যদি অপরাধী হয়ে থাকে এটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
মেয়র বলেন, ‘আগষ্ট মাসে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। এ মাসে আমি আমার পরিবারকে হারিয়েছি। আমার মনে বা আমার বাবার মনে কী চলছে এটা আমরা বুঝি। করলে অনেক কিছুই হতো। কিন্তু আমরা কার বিরুদ্ধে করব। যেটাই হবে সেটাই আমার দলের বিরুদ্ধে যাবে, সেটাই আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে যাবে। আমরা কাজ করি তার জন্য। প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দেব।জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে আন্দোলন বন্ধ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া তিনি কাউকে হয়রানি না করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।তিনি আরও বলেন, আমি বার বার বলি আওয়ামী লীগ আছে, আমি সাদিক আব্দুল্লাহ আছি। আওয়ামী লীগ যদি না থাকে আমি সাদিক আবদুল্লাহর কোনো মূল্য নেই। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, বরিশালের মানুষের স্বার্থে, আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই আমার বিচার করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর ইউএনও-এর বাসভবনের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও’র পক্ষ থেকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Top